নীলফামারীর ডিমলা টেপাখড়িবাড়ী ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেলে পড়া ভবনের নিচে শতাধিক শিক্ষার্থীর ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাঠদান চলছে। এতে ছাদ ও ওয়ালের প্লাস্টার ধসে পড়া ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০০৮-০৯ সালে এলজিইডি পুনর্নির্মাণ করলেও হেলে পড়া স্কুলভবনটি বর্তমানে বেহাল। হাঁটুসমান পানিকাদা মাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হয় ভবনের ভেতরে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে কোমলমতিদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। ভবনের ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টারসহ দরজা-জানালার গ্রিল খসে পড়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা খাতুন জানান, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তাঁর কাছে কিছু সংরক্ষিত টাকা দিয়ে মেরামত করেন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাসেদুজ্জামান রাসেদ বলেন, বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতে রয়েছে, এখন তো কোনো বরাদ্দ নেই, আমি তাঁদের চাঁদার ব্যবস্থা করে পাশে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে ক্লাস সচল রাখার জন্য বলেছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়েছে। বিকল্পভাবে পাঠদান চালু রাখতে টিনশেডের ঘর নির্মাণ করে তাতে ক্লাস করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার জরুরি ফান্ড থেকে বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।