কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আমন খেতে ছাতরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন খেতে। ওষুধ দিয়েও কোনো কাজে আসছে না। এদিকে সংক্রমিত চারা তুলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি কার্যালয়।
দ্বিতীয় দফা বন্যায় চিলমারীতে আমন খেতে অনেক ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে কৃষকেরা চড়া দামে আমন চারা সংগ্রহ করে আবারও রোপণ করেন। কিন্তু পোকার আক্রমণে খেতের ধানের গাছগুলো লালচে রঙের হয়ে মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকার গিয়ে দেখা যায়, কৃষক গোলজার হোসেনের আমন খেত ছাতরা পোকার আক্রমণে পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এই সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আনছার আলীর ২১ শতাংশ, মমিন মিয়ার ২৭ শতাংশ, জয়দুল হকের ৭ শতাংশ, বেলাল হকের ১২ শতাংশসহ স্থানীয় অনেকে খেত নষ্ট হয়ে গেছে।
গোলজার হোসেন বলেন, প্রথম দফা বন্যার পর আমন খেত রোপণ করি। দ্বিতীয় দফায় বন্যায় আমন খেত বিনষ্ট হওয়ার পর সুদের টাকা নিয়ে আমন চারা কিনে আবারও রোপণ করি। পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষি অফিসের পরামর্শে ওষুধ প্রয়োগ করি। এতে কোনো কাজ না হওয়ায় আবারও ওষুধ পরিবর্তন করে প্রয়োগের পরামর্শ দেয়। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় পুরো খেত নষ্ট হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, কৃষককে সপছিন, মিপছিন, ইমিটেব জাতীয় ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা না করে অন্য ওষুধ প্রয়োগ করায় ফলাফল পাওয়া যায়নি। কৃষকদের সংক্রমিত চারা তুলে ফেলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।