সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্নাতকে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে রবিউল ইসলামের। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও (চবি) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
রবিউল জানান, এক সময় জমাজমি ও অর্থ সম্পদ ছিল তাঁর পরিবারের। কিন্তু তিস্তা নদীর ভাঙনে সব শেষ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ১২ বার নদী ভাঙনের পর মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় তিস্তার চরাঞ্চলে অন্যের জমিতে। এক বেলা খেয়ে না খেয়েও লেখাপড়া বন্ধ করেননি তিনি।
২০১৮ সালে রবিউল গোবরধন হায়দারীয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ ও ২০২০ সালে লালমনিরহাট সরকারি কলেজে একই বিভাগ থেকে অটোপাশে জিপিএ-৪ দশমিক ৪২ পান। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঢাবিতে ক ইউনিটে ২ হাজার ৭৫৭ তম ও চবিতে ক ইউনিটে ৯৮৭ তম হয়েছেন। এ ছাড়া গুচ্ছপদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষায় ৫২ দশমিক ৫২ নম্বর রয়েছে তাঁর।
রবিউলের ইচ্ছে ঢাবি থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন। কিন্তু উচ্চশিক্ষা গ্রহণের শুরুতেই তাঁর বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছেন।
রবিউল জানান, করোনার সময়ে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করতে হয়েছে। আমার জমানো টাকা ও বাবার দিনমজুরের টাকায় রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করতে থাকা ও খাওয়ার পেছনে ব্যয় করতে হয়েছে। তবে রংপুরের রফিক কোচিং সেন্টার ফ্রিতে কোচিং করার সুযোগ করে দেয়।