হোম > ছাপা সংস্করণ

জমাট রাখতে হবে নিজেদের রক্ষণ

২০১১ সালে লেবাননের বিপক্ষে জয়কে ধরা হয় গত দশকে দেশের ফুটবলের সেরা অর্জন। সে ম্যাচে গোল করেছিলেন জাহিদ হাসান এমিলি। এক যুগ পর আবার যখন লেবাননের সামনে বাংলাদেশ, সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের পার্থক্য তুলে ধরেছেন সাবেক এই ফরোয়ার্ড—

এই লেবাননের বিপক্ষে আসলে খুব বেশি আশা করা যাবে না। আশা করা যেত যদি আমাদের দলের শক্তি আরেকটু ভালো হতো। বর্তমান লেবাননের শক্তি আর সামর্থ্য আগের তুলনায় অনেক বেশি। যদিও এই দলটা কিছুদিন আগে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে, ভারতের কাছে হেরেছে। সব মিলিয়ে লেবানন সাফে শক্তিশালী দল হিসেবেই খেলতে এসেছে। বাস্তবতা অনুযায়ী লেবাননের বিপক্ষে আমাদের খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা কমই থাকবে।

তবে আমাদের খেলোয়াড়দের নিবেদন আর ভালো করার প্রতিজ্ঞা থাকলে সুযোগ থাকতে পারে। ২০১১ সালে দলের প্রতি আমাদের নিবেদন ছিল অনেক বেশি। লেবাননের বিপক্ষে আমাদের ফুটবলাররা সেই নিবেদনটা দেখাতে পারলে ভালো কিছু হতে পারে। কিন্তু সত্যি বলতে লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচটা খুবই কঠিন হতে চলেছে। 

১২ বছর আগে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৪-০ গোলে আমাদের হারিয়ে দিয়েছিল লেবানন। সেই ম্যাচে যাওয়া থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়া, পরিবেশ—সবকিছু আমাদের বিপক্ষে ছিল। সেই কারণে প্রথম ম্যাচটা আমরা ভালো করতে পারিনি। সেবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও কিন্তু লেবানন ভালো করেছিল। তবে আমাদের মাঠে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ভালো কিছু করার। সেবার আমাদের দলটাও ভালো অবস্থানে ছিল। দলে ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড় ছিল অনেক। লেবাননের বিপক্ষে আমি গোল করেছিলাম, মিঠুন গোল করেছিল। দলে জাহিদ ছিল, কমল ছিল। তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জিততে হলে দেশের প্রতি নিবেদন থাকতে হয় খেলোয়াড়দের। সেই নিবেদনের প্রতিফলন থাকা চাই পারফরম্যান্সে।

আরেকটা জিনিস হচ্ছে, দলে ভালো ফিটনেস থাকলেই হয় না, ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড় থাকাটাও জরুরি। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা কিন্তু মাত্র আক্রমণ করতে পেরেছি। কম্বোডিয়া সেই ম্যাচে অনেক ভালো খেলেছে। তাদের সমস্যা ছিল একটাই—ফিনিশার না থাকা। ভালো ফিটনেস নিয়ে ৯০ মিনিট দৌড়ানো যায় কিন্তু কৌশল না থাকলে ম্যাচ জেতা খুবই কঠিন। ভালো মানের খেলোয়াড় থাকলে এই দলটাকে নিয়ে আমরা ভালোর প্রত্যাশা করতে পারতাম। লেবাননের ফিনিশিং খুবই ভালো হবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের রক্ষণ তাই জমা রাখতে হবে। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের জায়গা দেওয়া যাবে না। মাঝমাঠ আর রক্ষণের বোঝাপড়া ঠিক থাকলে হয়তো আমরা লেবাননকে আটকে দিতে পারব।

সাফে আমরা প্রতিবারই ভালো প্রত্যাশা নিয়ে যাই, কিন্তু ফিরি ব্যর্থ হয়ে। সাম্প্রতিক সময়ের চিত্র এমনই; ২০০৫ সালের পর আর আমরা টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পারিনি। ২০০৯ সালে ঘরের মাঠে শেষবার সেমিফাইনাল খেলেছি। দুটো দলেই আমি ছিলাম। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ যদি ম্যাচ ধরে ধরে পরিকল্পনা সাজাতে পারে, তাহলেই ভালো কিছু করা সম্ভব।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ