নওগাঁর মান্দা উপজেলায় এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করার অপবাদ দিয়ে বেবী আক্তার নামের এক স্কুলছাত্রীকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনদের দাবি, এ অপমান সইতে না পেরে বেবী কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে গতকাল রোববার ছয়জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেছেন। এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বেবী আক্তার (১৫) মান্দা সদর ইউনিয়নের খাগড়া উত্তরপাড়া গ্রামের সলিম উদ্দিন শাহের মেয়ে। সে মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
গ্রেপ্তার করা আসামির নাম সাদ্দাম হোসেন (২৮)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বেবীর চাচা সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ভাতিজি বেবী আক্তারকে গত বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রতিবেশী রীমা বেগম কৌশলে তাঁদের বাড়িতে ডেকে নেন। এ সময় ওই বাড়িতে কয়াপাড়া গ্রামের সুইটি বেগম, তাঁর মা আনজুয়ারা বিবি, রীমার স্বামী সাদ্দাম হোসেনসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করার অভিযোগ তুলে বেবীকে একটি ঘরে আটকে রাখেন। রীমার স্বামী সাদ্দাম হোসেন পরে বেবীকে নানাভাবে নির্যাতন করেন।
বেবীর বাবা সলিম উদ্দিন শাহ বলেন, প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ছাড়া পেয়ে তাঁর মেয়ে এ ঘটনা পরিবারের সদস্যদের জানায়। এ নিয়ে উভয় পরিবারের নারীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তিনি আরও বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হয়। এই অপমান সইতে না পেয়ে বেবী বিষপান করে। বিষয়টি টের পেয়ে তাকে প্রথমে মান্দা হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে বেবী মারা যায়।’
মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার পর অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।