সড়ক দুর্ঘটনায় গোলবার হোসেনের ডান পায়ের হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়েছিল। চিকিৎসার পেছনে তাঁর জায়গা-জমি ও জমানো টাকা পয়সা শেষ হয়ে যায়। এক পা না থাকায় অনেকে তাঁকে শ্রমের কাজেও নিতে চাইতেন না। স্ত্রী-সন্তান আর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন অতিবাহিত করছিলেন গোলবার।
ফেসবুকে গোলবারের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়ে গত ১১ ও ১২ অক্টোবর দুটি পোস্ট দেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার গ্রামের দুই যুবক শহিদুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান। তাঁদের পোস্ট আলোকবর্তিকা যুব ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ভূরুঙ্গামারীর সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মুরাদের নজরে এলে তিনি পোস্টটি শেয়ার করে গোলবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
কিছুদিন পর ওই ব্যক্তির সহযোগিতায় কেয়ার অ্যান্ড শাইন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গত ২৬ ডিসেম্বর ৪০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল দিয়ে গোলবারকে একটি মুদি দোকান চালু করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বলদিয়া ইউনিয়নের সাধু মোড়ের নূরনবী ইসলাম নবী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বিনা জামানতে একটি দোকান ঘর গোলবারকে ভাড়া দেন। গোলবারের বাড়ি বলদিয়া ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামে।
গোলবার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় অটোরিকশা চালাতাম। সেখানে বাস চাপায় ডান পায়ে মারাত্মক আঘাত পাই। পরে পাটি কেটে ফেলতে হয়েছে। চিকিৎসা চালাতে গিয়ে সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর কেয়ার অ্যান্ড শাইন ফাউন্ডেশন ৪০ হাজার টাকার মালামাল দিয়ে একটি মুদি দোকান করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সকলের সহযোগিতায় এখন অনেক ভালো আছি।’