হোম > ছাপা সংস্করণ

ফটিকছড়িতে অস্ট্রেলিয়ান কুল চাষে সাফল্য

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

অস্ট্রেলিয়ান বলসুন্দরী কুল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শান্তিরহাট এলাকার কৃষক মো. তৌহিদুল আলম। তাঁর উচ্চফলনশীল এই বাগান দেখে আগ্রহী হচ্ছেন উপজেলার অনেক কৃষক।

বলসুন্দরী কুল চাষ করে তিনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। এ বছর তাঁর কুল বিক্রি শেষ পর্যায়ে। প্রতিদিন গড়ে চার হাজার টাকার কুল বিক্রি করেন। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার কুল বিক্রি করেছেন। প্রতিটি গাছে সুমিষ্ট ফল শোভা পাচ্ছে। ফলের ধরন ও বাজারমূল্য ভালো পেয়ে তিনি বেজায় খুশি।

তৌহিদুল আলমের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান জাতের এসব গাছের প্রতিটিতে থোকায় থোকায় কুল ঝুলছে। সুস্বাদু বাহারি রঙের কুল তিনি গাছ থেকে পেড়েই বিক্রি করছেন। পোকা ও পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষায় বাগানের চারপাশে মশারি জালের বেড়া দিয়েছেন।

তৌহিদুল আলম জানান, ২০১৫ সালে উচ্চমূল্যের ফসল ও কৃষিপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ান কুল ছাড়াও উন্নত জাতের কয়েক ধরনের কুল চাষ শুরু করেন তিনি।

তৌহিদুল আলম জানান, তাঁর বাগানে বর্তমানে পাঁচজন নিয়মিত শ্রমিক কাজ করেন। এ বাগানের বরই অনেক মিষ্টি হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন বাগান থেকে কুল ক্রয় করতে। প্রথমে চার লাখ টাকা খরচ করে চার বিঘা জমিতে কুল চাষ শুরু করেন তিনি।

তৌহিদুল আলম বলেন, ‘প্রতি কেজি কুল ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। বাগানটি দেখতে অনেকেই আসছেন। উত্তর চট্টগ্রামে আমিই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান বলসুন্দরী বরই চাষ করে সফলতা পেয়েছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘দেশি বরইয়ের চেয়ে এ কুল কিছুটা বড়। ব্যতিক্রমী অস্ট্রেলিয়ান বলসুন্দরী চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তৌহিদ। এটি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। এর মাধ্যমে এলাকাসহ নানা প্রান্তের যুবকেরা তাঁর মতো আত্মনির্ভরশীল হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ