এখনো উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডিই পার হননি। এর মধ্যেই জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার প্রলোভন আসে। প্রতারক চক্রের পাল্লায় পড়েই তিন কলেজছাত্রী বাড়ি ছেড়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের জার্মানিতে পাচার করা হয়েছে বলেও অনুমান ওই তিন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের। এদিকে পুলিশ বলছে, নিখোঁজ ছাত্রীরা প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছেন ঠিকই, তবে এখনো তাঁরা দেশেই আছেন। তাঁদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চলছে।
২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর পল্লবী প্যারিস রোড এলাকা থেকে ওই তিন কলেজছাত্রী নিখোঁজ হন। তাঁরা সবাই মিরপুরের আলাদা তিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাসা থেকে পালানোর সময় একজন ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণ, অন্যজন ১ ভরি স্বর্ণসহ ১ লাখ টাকা এবং বাকি একজন ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বের হন। গত বৃহস্পতিবার সকালে পল্লবী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ছাত্রীর অভিভাবক মাহমুদা আক্তার। ওই নারী অভিযোগ করেন, পালানোর সময় ওই তিনজন নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, টাকা এবং অলংকার সঙ্গে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় তরিকুল, রকিবুল ও জিনিয়া নামে তিনজন জড়িত বলে দাবি করেন মাহমুদা।
এ বিষয়ে পল্লবী থানা-পুলিশের পরিদর্শক অপারেশন উদয় কুমার মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন কলেজছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় অপহরণের মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিন তরুণীর তিন ছেলেবন্ধু তরিকুল, রকিবুল ও অয়নকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। আমাদের ধারণা, তাঁরা এখনো দেশেই আছেন।’
আরেক ভুক্তভোগীর মা জিয়াসমিন বলেন, ‘আমার মেয়েসহ তিনজন স্কুলবন্ধু ছিল। করোনার সময় তাঁদের মধ্যে নতুন করে যোগাযোগ বাড়ে। আমার মেয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। তবে কিছুদিন ধরে বিদেশ যাওয়ার কথা বলছিল। নিখোঁজের আগে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সনদ গোছাতে দেখেছি।’