নীলফামারী জেলা ও উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ। তিন মাস ধরে রেকর্ড শাখার অনলাইন সার্ভারের সমস্যার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ জটিলতায় সরকারের রাজস্ব আদায় কমে গেছে। একই সঙ্গে দলিল লেখকেরাও দিনের আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্যদিকে দু-এক দিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুর রহমান। তিনি জানান, এক মাস আগে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এটা শুধু নীলফামারীতে নয়, সারা বাংলাদেশের পরিস্থিতিও একই রকম। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে রেকর্ড শাখার অনলাইন সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ জমির দলিলের রেকর্ডপত্র তুলতে পারছেন না। ফলে জমি বেচাকেনা ও দলিল রেজিস্ট্রি সম্ভব হচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা দিনের পর দিন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না। এতে সরকার প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ডিমলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের জমি বিক্রেতা মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘স্ত্রী চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। তাই জমি বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু গত এক মাস থেকে আমার জমির মূল খতিয়ানের কাগজ সাব-রেজিস্ট্রি রেকর্ড শাখা থেকে তুলতে পারছি না। তাই জমিও বিক্রি করতে পারছি না। অন্যদিকে ক্রেতা টাকাও দিচ্ছেন না।