হোম > ছাপা সংস্করণ

‘লালবাতির ধার ধারি না’

১৯৭০ সালটা ছিল মিছিল আর বিক্ষোভের। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এসে পরের বছরটিতে শাণিত করে নিয়েছিল। মিছিল আর স্লোগান। কখনো কখনো বোঝা যায়, মিছিলে কোনো নেতা নেই। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই রাস্তায় বেরিয়ে আসে মানুষ। আবু জাফর শামসুদ্দীন ভাবেন, তাহলে কি বিপ্লব সন্নিকটে? ফরাসি বিপ্লবের পূর্বক্ষণে প্যারি নগরীও কি এ রকম হয়ে উঠেছিল, কিংবা রুশ বিপ্লবের আগে মস্কো?

সকাল ছয়টার দিকে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন তিনি। ৫ মার্চ তারিখেও বেরিয়েছেন। বসন্ত কাল। নরম সূর্যের আলো। ভালোই লাগল হাঁটতে। সেদিন বিকেলে সঙ্গী ছিলেন শওকত ওসমান। দুজনে কিছুক্ষণ হেঁটে কাকরাইল থেকে রিকশা নিলেন। রিকশা এগিয়ে চলল নর্থ-সাউথ রোডের দিকে। এ সময় ট্রাফিক সিগন্যালে লাল বাতি জ্বলে উঠল। কিন্তু আবু জাফর শামসুদ্দীন অবাক হয়ে দেখলেন রিকশাচালক থামছেন না। তিনি বললেন, ‘থামো।’ তাঁর কথা অগ্রাহ্য করে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে এগিয়ে চললেন রিকশাচালক।

আবু জাফর শামসুদ্দীন রিকশাচালককে কিছু বলতে চাইলে তা আমলেই নিলেন না তিনি। সওয়ারিদের সঙ্গে জুড়ে দিলেন তর্ক। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় রিকশাচালক বললেন, ‘আমরা ট্রাফিক সিগন্যাল মানি না, লালবাতির ধার ধারি না।’

আবু জাফর শামসুদ্দীন বললেন, ‘এই ট্রাফিক সিগন্যাল তো তার এবং তার প্যাসেঞ্জারের জান বাঁচানোর জন্যই।’

কে শোনে কার কথা! বরং ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বললেন, ‘এ রকম জানলে আপনাদের মতো সওয়ারি নিতাম না।’

শওকত ওসমানকে বললেন আবু জাফর শামসুদ্দীন, ‘তোমাকে বলে আসছি, মানুষ নিজের এবং অন্যের জান সম্বন্ধে সম্পূর্ণ বেপরোয়া হয়ে গেছে—ট্রাফিক আইনকেও মনে করে অত্যাচারের আরেকটি যন্ত্র।’

নিজের হাতে আইন তুলে নিলে কী হয়, সে অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই আছে।

সূত্র: আবু জাফর শামসুদ্দীন, আত্মস্মৃতি ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০৬-১০৭ 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ