পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা হাটবাজারের কারণে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ না থাকার কারণে মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন সুবিধাভোগী একটি মহল।
জেলার বোদা উপজেলার এগারো মাইল থেকে শুরু করে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার মহাসড়কের পাশে ২৫ স্থানে হাটবাজার গড়ে উঠেছে।
পঞ্চগড়ের বাজারগুলো হলো বোদা উপজেলার বোদা বাজার, পাথরাজ, ময়দানদিঘী, জেমজুট বাজার, ধনীপাড়া, পঞ্চগড় জেলা সদরের খাঁনপুকুর, ট্রাক টার্মিনাল, মিলগেট বাজার, পঞ্চগড় বাজার, তেঁতুলিয়া বাসস্ট্যান্ড বাজার, ব্যারিস্টার বাজার, হেলিপ্যাড বাজার, জগদল হাট, বোর্ড অফিস, দশমাইল, তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুড়মারী চৌরাস্তা, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান রোড, আজিজনগর, তেঁতুলিয়া বাজার, রনচন্ডি, তিরনইহাট, সিপাইপাড়া বাজার ও বাংলাবান্ধা।
ওই সব বাজার ছাড়াও মহাসড়কের ধারে ছোট ছোট আরও অনেক হাট-বাজার রয়েছে। এসব বাজারের কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলসহ সাধারণ পথচারীকে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনায়। মহাসড়কের ধারের এসব হাট-বাজার এলাকায় প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। ১ বছরে এসব এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক।
পঞ্চগড় সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এই মহাসড়কে রোড ডিভাইডার দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। আগামী বছরের মধ্যে রংপুর-বাংলাবান্ধা মহাসড়ক ৪ লেনের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আপাতত মহাসড়কের ধারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে জেব্রা ক্রসিং এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় জেলা শহরের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার এলাকায় স্পিড ব্রেকার দেওয়া হয়েছে।