নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ২০ মাস ধরে ভেটেরিনারি সার্জনের পদ শূন্য রয়েছে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডিপি) প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কম্পাউন্ডারকে দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভেটেরিনারি সার্জনের চিকিৎসাসেবা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন ভেটেরিনারি সার্জন সাখাওয়াত হোসেন ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বদলি হন। তারপর থেকে ভেটেরিনারি সার্জনের পদটি শূন্য রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হননি। এ ছাড়া একজন ড্রেসারের পদ শূন্য রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলায় ছোট, মাঝারি ও বড় খামারির সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। এ ছাড়া রয়েছে হাঁস, মুরগি, ছাগল, ভেড়া, কবুতর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খামার। প্রতিদিন শতাধিক অসুস্থ গবাদিপশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজেও রোগী দেখেন। জনবল সংকট থাকায় প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আছাবুর রহমান ও কম্পাউন্ডার রাজিব চন্দ্র দাসকে দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। এ ছাড়া উপসহকারী প্রাণিসম্পদ (ডিপ্লোমা) কর্মকর্তারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারপরও সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন অনেক খামারি। অনেক খামারি চিকিৎসা না পেয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসা নিতে আসা মগবাজারের হাবিব বলেন, ‘২২ দিন বয়সী বাছুরের চিকিৎসার জন্য সকাল থেকে বসে আছি। চিকিৎসক না থাকায় কম্পাউন্ডার রাজিব চন্দ্র দাস ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়েছেন।’
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইউসুফ হাবীব বলেন, ভেটেরিনারি সার্জনের পদটি ২০ মাস ধরে শূন্য রয়েছে। চিকিৎসাসেবা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম একই সঙ্গে করা অসম্ভব। উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে ভেটেরিনারি সার্জনের শূন্যপদ পূরণের জন্য বলা হয়েছে। লিখিতভাবে ডিজি বরাবর আবেদন করা হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার মোবাইল ফোনে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।