১৯৯২ সালে বৃষ্টি আইনের খাঁড়ায় বিদায়, ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টাই করে ছিটকে পড়া। বারবার তীরের খুব কাছাকাছি এসেও তরি ডোবার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার নামের সঙ্গে বসেছে ‘চোকার’ অপবাদ। বিশ্বকাপে সম্ভাবনাময় দল হওয়ার পরও তাই ক্রিকেট পণ্ডিতদের শীর্ষ ফেবারিটের তালিকায় উঠে আসে না তাদের নামটি! আরেকটি নতুন বিশ্বকাপে নতুনভাবে শুরু করতে চাইলেও দুঃসহ অতীত তাড়িয়ে ফিরছে তাদের!
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা অবলীলায় বলেও ফেললেন, একটা বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত ‘চোকার’ অপবাদ তাড়িয়ে ফিরবে তাদের! আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে এ পর্যন্ত ৮টি বিশ্বকাপ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চারটি সেমিফাইনালও খেলেছে। কিন্তু একবারও শেষ চারের বৈতরণী পেরিয়ে ফাইনালে উঠতে পারেনি। এবার বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের গেরো কাটাতে চায় প্রোটিয়ারা। শিরোপা জিতে ঘোচাতে চায় ‘চোকার’ অপবাদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ১৫ সদস্যের ৭ জনেরই এটা প্রথম বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপ তাঁদের প্রথম হলেও ‘চোকার’ শব্দটার সঙ্গে পরিচিত তাঁরাও। ৩৩ বছর বয়সী বাভুমাও মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন শব্দটার, ‘এমন কিছু লোক আছে, যারা বিশ্বাস করেন, এটা আমাদের দলের জন্য প্রযোজ্য। আবার এই দলটার জন্য এটা প্রযোজ্য নয়—এটা বিশ্বাস করারও লোক আছে। তবে আমরা কোনটা বিশ্বাস করি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’