কুষ্টিয়ায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী চম্পা খাতুনকে (২২) হত্যার দায়ে শাহিনুল ইসলাম (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে আরেকটি হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একই বিচারক।
স্ত্রী হত্যার দায়ে দণ্ডিত শাহিনুল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা খারারা গ্রামের শাজাহান মালিথার ছেলে।
কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালত সূত্রে জানা যায়, শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয় শাহিনুলের। এর জেরে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর রাতে সাত মাসে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী চম্পাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে আগুন লাগিয়ে বের হয়ে যান শাহিনুল। পরে স্থানীয়রা চম্পাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় শাহিনুল এবং তাঁর বাবাসহ চারজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন চম্পার চাচা শাহাদাৎ হোসেন। ১৫ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চম্পার মৃত্যু হয়। পরে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর চম্পার স্বামী শাহিনুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক শরিফ মনজুর।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টেও পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩ জনকে খালাস দেন আদালত।
এর আগে সদর থানার রেজাউল ইসলাম নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একই আদালতের বিচারক। দণ্ডিতরা হলেন মিতুল, সাইমুম ইসলাম, খলিল ও জিত। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর হন রেজাউল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।