বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নে সেচপাম্প চুরির হিড়িক পড়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে তিন কৃষকের তিনটি সেচপাম্প চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরের পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পক্ষে আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে, ধারাবাহিকভাবে চুরির ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষক পরিবারগুলো। বোরোখেতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা। ওই তিনটি সেচপাম্পের আওতায় প্রায় ১৭০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের রিপন মিয়া, আমিনুল ইসলাম ও বাবুল ইসলাম বাড়ির অদূরে মাঠে বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প বসিয়ে চলতি মৌসুমে বোরো ধানখেতে পানি সেচ দিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সেচ পাম্পের ঘরে তালা দিয়ে বাড়িতে যান তাঁরা। রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা ঘরের তালা ভেঙে একই কৌশলে তিনটি সেচ পাম্প চুরি করে। বুধবার ভোরে সেচ পাম্প চুরির বিষয়টি টের পান ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
এর আগে, নিমগাছি ইউনিয়নে গত ২০ দিনে পাঁচজন কৃষকের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে একই কৌশলে ১৫টি গরু ও দুটি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। থানা-পুলিশ এখনো পর্যন্ত চুরি যাওয়া কোনো গরু উদ্ধার করতে পারেনি। চুরি ঠেকাতে থানা-পুলিশের আয়োজনে নিমগাছি ইউনিয়নের সোনাহাটা বাজার এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভার রাতেই আবারও সেচপাম্প চুরির ঘটনায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, বোরো চাষের ভরা মৌসুমে এভাবে সেচ পাম্প চুরি হওয়ায় সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল মিলছে না। পুলিশের নজরদারির অভাবে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
নিমগাছি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিত বিশ্বাস বলেন, ‘সেচ পাম্প চুরির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সেচপাম্প উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।’