চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে এনে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। তবে এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে ওই উপজেলার এক যুবক (১৮) তাঁর চাচাতো ভাইয়ের ঘরে যান। এ সময় তাঁদের আটকে রাখে, পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে জানালে তিনি দেবর-ভাবিকে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। এ সময় রাতে দেবর-ভাবিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুনরায় তাঁদের নির্যাতন চালায়। পরে বিকেলে শিকল বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় হাঁটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন ছবি তোলে। তা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া বলেন, ‘আমি ঘটনা জানি না। আমার নাম ভাঙিয়ে কে বা কারা এ কাজ করেছেন।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের বেঁধে নির্যাতন করছেন। আমার কাছে দেবর-ভাবিকে নিয়ে এলে আমি তাঁদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করি।
শিকল দিয়ে বেঁধে রাস্তায় হাঁটানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে সমর্থন করি না। একজন মানুষকে এভাবে রাস্তায় হেনস্তা করা ঠিক হয়নি। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। এটা মারাত্মক অপরাধ। ভুক্তভোগী নারী মামলা করলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’