উন্নয়নকাজের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ অংশের বিভিন্ন স্থানে দুই পাশের গাছ কাটার অনুমোদন দিয়েছে বন বিভাগ। কিন্তু বন বিভাগের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সড়কের বাইরে আঞ্চলিক সড়কের ১০৭টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
ঘিওর উপজেলার তরা, ক্রস ব্রিজ ও রাথুরা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে বানিয়াজুরী-ঝিটকা আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়কের দুই পাশ থেকে মেহগনি, কড়ই, রেইনট্রি, নিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কেটে নিয়েছেন ওই ঠিকাদার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ঘিওরের পূর্ব তরা এলাকা থেকে বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়ক প্রশস্তকরণের জন্য উভয় পাশের গাছ কাটতে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়েছে জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সম্প্রতি মহাসড়কের ওই অংশের ৪০৭টি গাছ বিক্রি করতে দরপত্র আহ্বান করে জেলা বন বিভাগ। গাছ কাটার কাজের ঠিকাদারি পান আবদুস সালাম, মতিউর রহমান ও হাবিবুর রহমান নামের তিনজন। কিন্তু ঠিকাদার আবদুস সালাম অনুমোদন পাননি, এমন সড়কের গাছও কেটে নিচ্ছেন।
ঠিকাদার আবদুস সালাম বলেন, ‘মহাসড়কের পাশের গাছগুলো বগুড়ার এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তিনি কীভাবে, কোথা থেকে গাছ কেটেছেন তা জানা নেই।’
বগুড়ার শেরপুরের কাঠ ব্যবসায়ী নায়েব আলী মোবাইল ফোনে জানান, চিহ্নিত করা গাছগুলোই কাটা হয়েছে। এর বাইরে শ্রমিকেরা দুয়েকটি গাছ কেটেছেন। এগুলো জ্বালানি হিসেবে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে মহাসড়কের নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট কিছু গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বানিয়াজুরী-ঝিটকা সড়কের গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই সড়কের গাছ কাটা বেআইনি। এ কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।