পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী বড় ভাই আনোয়ার হোসেনকে ভোট দিতে এলাকায় আসার ৬ ঘণ্টার মাথায় খুন হয়েছেন সবুজ হোসেন (৩৫)।
গত সোমবার নিজ বাড়ি চলনা কারিগরপাড়ার সামনে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সবুজ। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সবুজের বড় ভাই ইউপি সদস্য প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। তাঁরা হুমকি-ধমকি দেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় নৌকার প্রার্থীর সশস্ত্র বাহিনী বাড়ির সামনে আমার ছোট ভাই সবুজকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।’
প্রতিবেশী আমিনুর রহমান, শিপুল হোসেন ও মোর্শেদ আলম জানান, বড় ভাই আনোয়ার হোসেনকে ভোট দেওয়ার জন্য সবুজ ৬ ঘণ্টা আগে স্ত্রী ও মেয়েসহ গ্রামের বাড়ি আসেন। এ হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমিন উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হামলার ঘটনার সঙ্গে নৌকার সমর্থকেরা জড়িত নয়। উল্টো তাঁরাই আমার প্রচার বহরে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেছেন। ’
সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সবুজ নামে এক যুবক মারা যাওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।