হোম > ছাপা সংস্করণ

বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি কৃষকের হতাশা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনার জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুরে এক হাজার একর জমির শীতকালীন ফসল ও পাকা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২০টি ইটভাটার কয়েক কোটি টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন ফসলের চাষ হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় আমন ধানের ক্ষতি কিছুটা কম হলেও শীতকালীন সবজি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সদর উপজেলার কুশাখালীর কৃষক মানিক মিয়া ও তোরাবগঞ্জ এলাকার মো. জসিম উদ্দিন জানান, কয়েক দিনের মধ্যে পাকা ধান ঘরে তোলার কথা। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সব ধান পানিতে ডুবে গেছে। এতে খেতের ধান খেতে নষ্ট হয়ে পড়েছে।

তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, গত বছরও বৃষ্টির কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে চাষিদের। খাল-বিল সংস্কার না করায় বৃষ্টির পানি জমে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তিন বছরের টানা লোকসানে ভবিষ্যতে কৃষি কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেন অনেকে।

টুমচর ও ভবানীগঞ্জ এলাকার সবজি চাষি রহমত উল্যাহ ও ফয়সাল এবং আবদুল মান্নান জানান, কয়েক একর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। এখন ওই সব সবজি বাজারে বিক্রি করে সংসার ও দেনা পাওনা শোধ করার কথা ছিল। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কী করে সংসার চালাবেন বা ধারদেনা শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া না হলে সামনের দিনে আর ফসল করা সম্ভব হবে না।

রামগতি উপজেলার কৃষক জাফর আহমদ গনি ও মাসুদ আলম বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজিখেতে পচন ধরেছে। যেমন লাল শাক, পুঁইশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি ও টমেটো বীজতলা পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছি। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের দিকে না তাকালে সামনে কী করে সংসার চালাব সেই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’

কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্যাহ জানান, টানা বৃষ্টিতে এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন ফসলের। এ ছাড়া সয়াবিন ও পাকা ধানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন জানান, বৃষ্টিতে জেলার পাঁচ উপজেলায় রবিশস্য, সয়াবিন, পাকা আমন ধানসহ প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেহেতু বৃষ্টি থেমে গেছে, এই সুযোগে ফসলের মাঠ থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। সে কারণে ফসলের আর ক্ষতি হবে না। তারপরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে প্রণোদনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ