বান্দরবান-রুমা সড়কের পাইক্ষ্যংঝিরি খালে ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুর পাশে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সেতুর পাশে মাটি কেটে তৈরি করা রাস্তায় সীমিত পরিসরে যান চলাচল শুরু হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলার রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান এবং জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি মো. জাফর উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানান, বিকল্প রাস্তায় ছোট গাড়ি চললেও বড় বাস গতকাল দুপুর পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করেনি।
বান্দরবান-রুমা সড়কটি বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)। তবে দুর্ঘটনার পর সড়ক বিভাগও দ্রুত সেতু মেরামতে কাজ করছে।
বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি বলেন, বড় বাসগুলোও যাতে সরাসরি চলাচল করতে পারে, তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর ইসিবি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, পাইক্ষ্যংঝিরি খালের ওপরের ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুটির পাশ দিয়ে সেনাবাহিনীর ইসিবি সদস্যরা বুলডোজার-এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিকল্প রাস্তা তৈরির জন্য কাজ করছেন।
সোহেল কান্তি নাথসহ স্থানীয় লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কিছু ছোট গাড়ি বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছে।
রোয়াংছড়ি থানার ওসি গতকাল বিকেলে বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে বড় গাড়িগুলো শুক্রবার বিকেলের পর চলাচল করতে পারবেন বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।
এর আগে বান্দরবান সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শরীফুজ্জামান জানিয়েছিলেন, ভেঙে যাওয়া সেতু মেরামত করতে সময় লাগবে। তবে ভেঙে যাওয়া স্থানে আরেকটি বেইলি সেতু তৈরির সরঞ্জাম দোহাজারী সড়ক বিভাগ থেকে আনার জন্য সড়ক বিভাগে চিঠি দিয়েছেন।
গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে চালবোঝাই একটি ট্রাক বান্দরবান থেকে রুমা উপজেলায় যাওয়ার পথে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের পাইক্ষ্যংঝিরি খালের ওপরের বেইলি সেতুটি ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকচালক মো. আবদুল গফুর (৩৫) মারা যান। এরপর থেকে বান্দরবান-রুমা সড়কে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।