লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে সদস্য পদের প্রতিদ্বন্দিতা থেকে সরে না দাঁড়ানোয় এক প্রার্থীর ভুট্টাখেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত সদস্য পদপ্রার্থী মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম ভোটমারী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের কালীকাপুর এলাকায়।
অভিযোগে জানা গেছে, মনিরুল বাড়ির পাশে থাকা আব্দুর রহিমের জমি বর্গা নিয়ে ভুট্টার চাষাবাদ করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে একই পদে টিউবওয়েল প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুর রহিম। রহিম সদস্য পদপ্রার্থী হয়ে তাঁর বর্গাচাষি প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুলকে নির্বাচন থেকে সরে আসতে আহ্বান জানান। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে মনিরুল নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রহিমের নির্দেশে প্রতিবেশী নমরুল হক গংরা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে তাঁর ৯২ শতাংশ জমির ভুট্টাখেতের মধ্যে ৪০ শতাংশ খেতের গাছ কেটে ফেলে। এ সময় ওই জমিতে থাকা একটি সেচের শ্যালো মেশিনও ভেঙে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে নমরুল হক গংরা লাঠি নিয়ে তাড়া করলে পালিয়ে রক্ষা পান বর্গাচাষি ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল। এরপর জমিতে এলে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে যান হামলাকারীরা।
এতে ভুট্টাখেতসহ তাঁর ৭২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে বিচার চেয়ে নমরুলকে প্রধান আসামি এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুর রহিমসহ আটজনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন মনিরুল।
ইউপি সদস্য প্রার্থী মনিরুল বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে ভুট্টাখেতের কী সম্পর্ক? নির্বাচনে প্রতিপক্ষ আমি। আমাকে মারতে এবং ভোটে পরাজিত করতে না পেরে আমার ভুট্টাখেত নষ্ট করা হয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নমরুল ও আব্দুর রহিমকে মোবাইলে কল করা হলে রিসিভ করেননি। তবে আব্দুর রহিমের ভাতিজা একই মামলার আসামি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। দুপক্ষেরই ক্ষতি হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’