ছয় বছরের তাহসীন হোসেন মায়ের সঙ্গে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়েছিল। কিন্তু মায়ের হাতও তাকে সুরক্ষা দিতে পারেনি। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপ ভ্যান তার প্রাণ কেড়ে নেয়। গতকাল বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহসীন স্থানীয় চরমনসা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। সে গতকাল ভবানীগঞ্জ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
এদিকে একই সময়ে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের রাখালিয়া এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান আরিফ হোসেন নামের এক মোটরসাইকেলচালক। তিনি পৌরশহরের দেনায়েতপুর এলাকার মোহাম্মদ মুন্না হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি শেষে মায়ের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিল শিশু তাহসীন হোসেন। ভবানীগঞ্জ বাজারের পাশে এসে অটোরিকশা থেকে ছেলেকে নিয়ে নামছিলেন মা। এ সময় রামগতি থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি গ্যাস সিলিন্ডারবাহী পিকআপ ভ্যান মায়ের হাতে থাকা তাহসীনকে চাপা দেয়। তাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। উত্তেজিত জনতা পিকআপটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।
এদিকে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়কের রাখালিয়া নামক এলাকায় ঢাকা এক্সপ্রেসের একটি গাড়ি মোটরসাইকেলচালক আরিফ হোসেনকে চাপা দেয়। তাতে আরিফ হোসেনের মৃত্যু হয়। দুপুরে ক্রেতাদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আনতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দীন ও শিপন বড়ুয়া দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।