হোম > ছাপা সংস্করণ

পানিপ্রবাহ বন্ধ করে স্থাপনা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

দখলের কারণে ডাহুক নদী মৃতপ্রায়। অপরিকল্পিতভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এমনকি নদীর গতিপ্রবাহ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণেরও অভিযোগ উঠেছে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝিপাড়া দিয়ে প্রবাহিত ডাহুক নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতে। বাংলাদেশে ১৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করেছে নদীটি।

স্থানীয়রা বলছেন একসময় নদীটির পানিপ্রবাহ ছিল। নদীর স্বচ্ছ পানিতে পাওয়া যেত নানা রকমের মাছ। নদীর দুই পাড়ে ছিল নানা জাতের উদ্ভিদ। পাড়ের জঙ্গলে বাস করত নানা ধরনের পশুপাখি। এই নদীকে কেন্দ্র করে বালাবাড়ি, মান্ডুলপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জেলেরা জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু এখন ডাহুক নদী মৃতপ্রায়। দখল হয়ে যাচ্ছে নদীর দুই পাড়। সংকীর্ণ হচ্ছে নদীর গতিপথ। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা নদীটিকে দখল করে নির্মাণ করছে স্থাপনা। গুচ্ছগ্রাম এলাকায় বাঁশের বেড়া ও বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। এতে নদীর গতিপথ বন্ধ হওয়ায় চলছে চাষাবাদ।

বালু ও পাথর ব্যবসায়ীরা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে পাথর-বালু উত্তোলন করছেন। তিন বছর আগে স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীরা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের ফলে নদীটি ভরাট হয়ে যায়। পরিবেশকর্মীরা ড্রেজার বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করেন। পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর হস্তক্ষেপে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধ হয়ে গেলেও এখনো দখল থামেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজী ফার্ম নামের একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ সম্প্রতি নদীটির একটি অংশকে নিজেদের জমি দাবি করে গতিপ্রবাহ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। নদীর চলমান পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও রাতের অন্ধকারে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সংবাদকর্মী ও বাংলাদেশ নদী রক্ষা আন্দোলনের তেঁতুলিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বলেন, দখলের কারণে নদীটি অর্ধেক মৃত। ডাহুক নামটির কারণেই নদীটির পরিচিতি আছে সারা দেশে। নদীর দুই পারের দুটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের কৃষি এবং কর্মসংস্থানে এই নদীর বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালীদের দখলে নদীটি মরে যাচ্ছে। কাজী ফার্ম নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ডাহুকের প্রবাহ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে ডাহুক।

এ বিষয়ে কাজী ফার্মের ডেপুটি ম্যানেজার (প্রশাসন) আকরামুজ্জামান শেখ বলেন, ‘মালিকানা সূত্রে নদীর সীমানা ঠিক রেখে আমরা স্থাপনা করছি। সীমানা নির্ধারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতাও চেয়েছি আমরা। আপাতত কাজ বন্ধ আছে। সীমানা নির্ধারণের অপেক্ষায় আছি।’

তেঁতুলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, ‘নদীর গতিপ্রবাহ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছিল। আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, বিভিন্ন দিক দিয়ে নদীটি দখল হওয়ার কারণে প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ডাহুকের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে খনন উদ্যোগের প্রয়োজন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ