পূর্ব বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে থানা গেটের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এতে তিন পুলিশসহ আহত হয়েছেন আটজন। এরপর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপজেলায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আর মামলার ও প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
আহতরা হলেন—উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ, এসআই আসরাফুল ইসলাম, এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাওন মিয়া (২১), কাউছার মিয়া (৩৮), ছুবুর মিয়া (২৮), পাবেল মিয়া (৩৪) রাজিব (৩০)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং, নবীপুর ও পৌরসভার আলমনগর গ্রামের যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জেরে শাওন নামের এক যুবককে শ্রীরামপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করার সংবাদ পান তাঁর মামা কাউছার মিয়া। থানায় একটি সালিশি সভা থেকে খবর পেয়ে বেরিয়ে আসছিলেন তিনি।
এ সময় থানা গেটে আলমনগর গ্রামের রাজিব ও রবিনের সঙ্গে কাউছারের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই জেরে দুপক্ষের লোকজন থানা গেটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তিন পুলিশসহ আটজন আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে দ্বিতীয় দফায় দুপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। এতে পুরো উপজেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বর্তমানে সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল সকালে পূর্ব বিরোধের জেরে একটি সামাজিক সালিশি সভায় কাউসার মিয়া থানায় আসেন। এ সময় হঠাৎ করে তাঁর মোবাইলে একটি কল আসে। তাঁর ভাগিনাকে কে বা কারা অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করছে।
তাৎক্ষণিক কাউসার থানা থেকে বের হতে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে নবীনগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলে দ্বিতীয় দফায় আবারও তারা সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। টহল জোরদার করা হয়েছে।