ঢাকার দোহার উপজেলায় পৌরসভার দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকায় এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী ফাতেমা আক্তার। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় প্রায় তিন বছর আগে। এরপর জন্ম হয় ছোট ছেলে খান মাহাবুবের। দুই সন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেন ফাতেমা। কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠুরতার কারণে সবকিছু হারিয়ে যায় তার। যখন জানতে পারেন তার ছোট শিশু বাচ্চাটি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত।
প্রাথমিক কেমো থেরাপি দেওয়ার পর চিকিৎসক জানান মাহাবুবের সুস্থতার জন্য অন্তত দুই বছর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। এতে খরচ হবে কয়েক লাখ টাকা। যেখানে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় ফাতেমাকে সেখানে চিকিৎসা যেন স্বপ্নের মতো। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মোহরানার দেড় লাখ টাকা দিয়ে ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করেন ফাতেমা। ধীরে ধীরে সেই টাকাও খরচ হয়ে যায়। তাই সন্তানের দিকে তাকিয়ে প্রতিনিয়ত কান্নায় ভেঙে পরেন ফাতেমা। শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য সহায়তার জন্য আবেদন করেন সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের কাছে।
ফাতেমার মা রেহেনা বেগম জানান, সহায়তা চেয়ে দারে দারে ঘুরেও কোনো সহায়তা পাননি এখনো। তিনি বলেন, ‘আশে পাশে অনেকের কাছে সাহায্য চেয়েছি সবাই বলে দেখছি কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল কেউ কোনো সাহায্য করেননি। আমাদের আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই।’
পাশের প্রতিবেশী সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে অসুস্থ বাচ্চাটির কষ্ট আর সহ্য হয় না। আমরা তাদের কোনো সহায়তা করতেও পারি না টাকার অভাবে।’