শিশুদের কাপড় ও জুতা থেকে অ্যালার্জি হয়, যাকে কন্টাক্ট ডর্মাটাটিস বলে। কাপড় থেকে যে অ্যালার্জি হয় তাকে টেক্সটাইল অ্যালার্জি বলা হয়। সাধারণত পলিয়েস্টার নাইলন টাইট ফিট কাপড় পরলে শরীরের বগল বা কনুইয়ের মতো যে ভাঁজগুলো আছে, সেগুলোতে র্যাশ বা চুলকানি হওয়া কিংবা ওই জায়গাগুলো লাল হয়ে যাওয়া বা পানিযুক্ত দানা ও পরে পুঁজ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। যেসব শিশুর অ্যাপোটিক ডর্মাটাটিস আছে, তাদের এই টেক্সটাইল ডর্মাটাটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে নরম সুতির ঢিলেঢালা কাপড় পরানো উচিত। কাপড়ের ডাই, কালার ফেব্রিক থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। প্যান্ট বা জামায় থাকা নিকেলের বোতাম, চেইন বা রিং হুক থেকেও কন্টাক্ট ডর্মাটাটিস হতে পারে। তাই এসব থেকে শিশুকে সাবধানে রাখতে হবে।
কাপড়ের পরে আসে জুতা। সাধারণত রাবার বা জুতায় কোনো অ্যাডহিসিভ থাকলে বা লেদারের জুতা থেকেও শিশুদের কন্টাক্ট ডর্মাটাটিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কন্টাক্ট ডর্মাটাটিসের লক্ষণগুলো ফুটে উঠবে।
চিকিৎসা
অনেক সময় প্যাঁচ টেস্ট করে দেখা যেতে পারে শিশুর কোনটিতে অ্যালার্জি।
চুলকানি উপশমের জন্য সাধারণত মুখে খাওয়ার জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। যদি কোনোরকম সংক্রমণ থাকে সে ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়ে থাকে এবং ব্যবহারের জন্য স্টেরয়েড, ট্যাকরোলিমাস, পিম্যাকরোলিমাস এসব ওষুধ দেওয়া হয়। আর যদি সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক অয়েনমেন্টও দেওয়া হয়ে থাকে। শিশুর অনেক সময় মোজা থেকেও কন্টাক্ট ডর্মাটাটিস হতে পারে। তাই জুতা-মোজা ও কাপড় নির্বাচনে হতে হবে সাবধানি।