হোম > ছাপা সংস্করণ

পীরগঞ্জে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষাখেত। হলুদের চাদরে ঢেকে গেছে সবুজ মাঠ। এই সুযোগে মধু চাষিরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মধু সংগ্রহে। উপজেলার নারায়ণপুর, সাটিয়া, একান্নপুর, জাবরহাট ও খটশিংগাসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সরিষাখেতের পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌয়ালেরা। বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে। ফুল থেকে মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। আর এই চাক থেকেই মধু সংগ্রহ করেন মৌমাছি চাষিরা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মৌচাষিরা এসব মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। এতে লাভবান হচ্ছেন তাঁরা।

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা থেকে আসা মৌচাষি মো. এরশাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সরিষাখেত থেকে বছরে চার মাস মধু সংগ্রহ করে থাকি। অন্য আট মাস কৃত্রিম পদ্ধতিতে চিনি খাইয়ে মৌমাছিদের পুষে রাখা হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।’

আরেক মধু চাষি জানান, আকার ভেদে একটি বাক্স থেকে ২০ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। প্রতিটি মৌবাক্স তৈরিতে খরচ হয় আট থেকে ১০ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি মধু বিক্রি করা হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। সরিষা ছাড়াও লিচু, মিষ্টি কুমড়া, কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করা যায় বলে জানান তিনি।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার উপজেলায় মোট ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।’

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সরিষাখেতের পাশে মৌবাক্স বসালে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। এতে ফলনও বাড়ে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ