পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ ছয় মাস ধরে বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পুনরায় সময়ের আবেদন করে নির্মাণকাজ নিয়ে কালক্ষেপণ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে বালু। রোদ-বৃষ্টিতে সিঁড়ি ও কলমের রডে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তবে ঠিকাদার বলেছেন, যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে সে পরিমাণ বিল অফিস থেকে দিতে পারছে না। এ জন্য কাজে সময় লাগছে। তবুও ভবনের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরাদ্দের পরিমাণ ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ফাউন্ডেশন চারতলা, তবে এখন নির্মাণ করা হবে একতলা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে একটি মাত্র পুরোনো পাকা ভবন রয়েছে। এতে তিনটি কক্ষ রয়েছে। ক্লাস পরিচালনার জন্য শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ হলে কিছুটা হলেও এ সংকট কেটে যেত।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাদিয়া ইসলাম, হাফসা আক্তার ও সোহানা আক্তার বলে, শ্রেণিকক্ষ সংকটে কখনো মাঠে ক্লাস করতে হয়। নতুন ভবনের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন বলেন, গ্রেড বিম ও কলম নির্মাণ করে কাজ ছয় মাস ধরে বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার। বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি কর্ণপাত করছেন না।
ঠিকাদার মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘ভবনের কাজ করতে একটু সময় লেগেছে। আমার অনেকগুলো দপ্তরের কাজ চলমান রয়েছে। এই দপ্তরের কাজ করে টাকা পেতে সময় লাগে। যে পরিমাণ কাজ করেছি, সে পরিমাণ বিল তুলতে পারিনি। মাত্র চার লাখ টাকার বিল তুলতে পেরেছি। তবুও বাকি কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে।’
পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠানপ্রধান একটি আবেদন করলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’