দোল পূর্ণিমা মেলা ঘিরে সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথধাম মন্দিরে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নামে। হেঁটে সমতল ভূমি থেকে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ বেয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ ফুট ওপরের চন্দ্রনাথধাম মন্দিরে গত শুক্রবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত দলবেঁধে উঠতে দেখা গেছে সনাতন ধর্মানুসারীদের।
পুণ্যার্থীরা ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা হেঁটে ওপরে ওঠার পর পুণ্য লাভের আশায় পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথধাম মন্দিরে থাকা শিবলিঙ্গে ডাবের পানি, দুধ ঢেলে প্রার্থনা করেছেন। পুজো শেষে তাঁরা একে অপরের কপাল ও মুখে আবিরের রং মাখিয়ে দিয়ে হোলি খেলায় মেতে ওঠেন।
মেলার আয়োজকরা জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুশৃঙ্খলভাবে দিনব্যাপী আয়োজিত দোল পূর্ণিমা মেলা ও হোলি উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এবারের দোল পূর্ণিমা মেলায় ধারণার চেয়ে বেশি পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে।
সরেজমিন দেখা গেছে, তিন দিনের বন্ধে এবারের দোল পূর্ণিমা মেলায় অনেক পূর্ণ্যার্থী এসেছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। আবার অনেকে এসেছেন দেশের বাইরে থেকেও। আগত পুণ্যার্থীদের মধ্যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা লাঠিতে ভর দিয়ে; আর মা-বাবারা তাঁদের শিশুদের কোলে, কাঁধে নিয়ে সমানতালে উঠছেন চন্দ্রনাথধামে। চন্দ্রনাথধাম দর্শনের পাশাপাশি পুণ্যার্থীরা মেলা ঘিরে এক কিলোমিটারজুড়ে নানা ধরনের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসা দোকান থেকে করছেন কেনাকাটা।
মেলায় আগতদের নিয়ে মেলা কমিটির উদ্যোগে প্রসাদ বিতরণের পাশাপাশি মন্দিরে মন্দিরে পূজা, হোমযজ্ঞ, ধর্মীয় গান প্রতিযোগিতা, গীতা পাঠসহ বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে দেখা গেছে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, মেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত ৭০ জন সদস্য দিনব্যাপী দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে দোল পূর্ণিমা মেলা।