সাটুরিয়ায় আবাদি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কৃষকেরা। গতকাল মঙ্গলবার দরগ্রাম ইউনিয়নের তেবাড়িয়া ছাপড়াপাড়া গ্রামের রাস্তায় এ মানববন্ধন হয়।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার আবুল কালাম আজাদ গংরা গত তিন বছর ধরে এলাকার তিন ফসলি ৪০ হাজার হেক্টর আবাদি জমিকে জলাশয়ে পরিণত করে রেখেছে। ওই জমি থেকে পানি বের হওয়ার প্রধান কালভার্ট, সেতু ও খাল মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছে। ফলে পানি বের হতে পারছে না। এ কারণে কৃষকের ৪০ হাজার হেক্টর জমি সারা বছর জলাশয় হয়ে থাকে। জলাশয় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কৃষকেরা এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, এই জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু চারদিকে মাটি ভরাট করার কারণে ওই জমির পানি বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। বন্যা বা বর্ষার পানি একবার জমিতে প্রবেশ করলে সে বছর আর ফসল ফলাতে পারে না কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানায়, এলাকার আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম ও জুড়ান আলী পানি বের হওয়ার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে তাঁরা। এতে তিন বছর ধরে আবাদি জমিকে জলাশয়ে পরিণত করেছে। ফলে কৃষকেরা ফসল ফলাতে না পারায় তিন বছর ধরে মানবতা জীবন যাপন করছে।
কৃষক মো. ফজল হক বলেন, ‘যাদের জন্য তিন বছর ধরে শতাধিক কৃষকের আবাদি জমিতে ফসল ফলাতে পারছেন না। সরকারি কালভার্ট সেতু ও খাল বন্ধ করে দিয়ে ক্ষতি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কৃষি অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এ ছাড়া সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ সময় দরগ্রাম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন, মমরেজ উদ্দিন, আবুল বাশার, আব্দুল আজিজ, ফজলুল হক, কোরবান আলী প্রমুখ।