নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কারাগারে থেকেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এক বিএনপি নেতা। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউপি থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত বাহরুল আলম সুমন ওই ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি।
বাহরুল আলম সুমন ওই ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মাওলানা বশির উল্যাহর ছেলে। নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন।
গত ২৭ অক্টোবর নির্বাচনী প্রতীক আনতে উপজেলা শহরে গিয়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন সুমন। গত ১৫ অক্টোবর চৌমুহনীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে ভাঙচুরের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও ওই মামলার এজাহারে আসামির নাম ছিল কামরুল আলম সুমন।
সুমনের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, মিথ্যা মামলায় বাহরুল আলম সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দুবার এবং সর্বশেষ নির্বাচনের আগের দিন সুমনের জামিন চেয়ে জজ কোর্টে আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
র্যাব-১১ সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, চৌমুহনীর বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২৯ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি কামরুল আলম সুমনকে গত ২৭ অক্টোবর চৌমুহনী বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। ওই মামলায় ৮২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামির নাম ভুলে বাহরুল আলম সুমনের স্থলে কামরুল আলম সুমন হয়েছিল। ওই মামলার ৮২ নম্বর আসামি হিসেবে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।