হোম > ছাপা সংস্করণ

দিনাজপুর ও নীলফামারী

দিনাজপুর ও নীলফামারী প্রতিনিধি

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশায় দিনাজপুর নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এসব এলাকায় চলেছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনাজপুরে ২৪ ঘন্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, হাড় কাঁপানো শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু গরু-ছাগলের শরীরে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে ঠান্ডা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন কৃষক ও খামারিরা। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আগুনের উত্তাপ নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে গ্রামের মানুষ। গরম কাপড়ের দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বেশি দাম দিয়ে মানুষ বাধ্য হয়েই গরম কাপড় কিনছেন। নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা পুরোনো গরম কাপড়। তবে, জেলায় শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের কম্বল বিতরণ অব্যাহত আছে।

দুপুরে নীলফামারী পাঁচমাথা মোড়ের অটোচালক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘সকালে রোদ দেখে শহরে এসেছি, কিন্তু এখন আকাশ মেঘলা ও হালকা ‍কুয়াশা পড়ছে। ঠান্ডায় অটো চালাতে কষ্ট হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে হিমেল বাতাসে শীত বাড়ছে, তাই সড়কে মানুষজনও কমে গেছে। এমন তীব্র ঠান্ডা এ বছরের মধ্যে আজকেই প্রথম।’

ডিমলা উপজেলার চর চাতুনামার ষাটোর্ধ্ব মুদিদোকানি আবুল হোসেন বলেন, ‘লেপ-কম্বল গায়ে দিয়েও ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ঘরের মধ্যে মাটির পাত্রে কাঠের টুকরোয় আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতে হচ্ছে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছে।’

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গতকাল চলতি শীত মৌসুমে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের শীতজনিত রোগের ঝুঁকি বেড়েছে। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিও রয়েছে।

তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্য বলেন, শীতে শিশুদের প্রতি একটু বিশেষ নজর রাখলে ঠান্ডাজনিত রোগ এড়ানো যায়। যেমন শিশুকে গরম পানিতে গোসল করানো যেতে পারে। শিশুর গায়ে যেন শীতের কাপড় থাকে, সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে। খোলা বাতাসের মধ্যে শিশুকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকা করে অসহায় মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। শীত মোকাবিলায় ৭ হাজার ৭০০ শীতবস্ত্র ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রয়োজনে আলাদা করে শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ