বাসাইলে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। কম দাম, অধিক কার্যকারিতা, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় এই সার ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকেরা।
হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, গবাদিপশুর গোবর, শাকসবজির উচ্ছিষ্ট, খোসা ও কচুরিপানার মিশ্রণে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন করা হয় কেঁচো সার। যা ভার্মি কম্পোস্ট সার নামে অধিক পরিচিত। পচনশীল দ্রব্য দিয়ে তৈরি ভার্মি সার ব্যবহারে জমির গুণগত মান ঠিক থাকে।
উপজেলার দাপনাজোর গ্রামের কৃষক হোসেন আলী জানান, একটি রিং এ ৫০ কেজি কেঁচো সার তৈরি করা যায়। সার তৈরিতে প্রয়োজন হয় কেঁচো, পচা গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, তরকারির খোসা ও কচুরিপানা। তবে সব উপকরণ না পেলেও কেঁচো, কলার খোল ও পচা গোবর দিয়ে এই সার তৈরি করা যায়। আমি কৃষি অফিস থেকে ১০টা রিং আর কেঁচো পেয়েছিলাম। এখন আমার কাছে ২৫টি রিং রয়েছে। এ সারের যে উপকার তাতে আমি আরও রিং বাড়াব।
উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, ৫০ কেজি কেঁচো সার উৎপাদন করতে সময় লাগে এক-দেড় মাস। ৫০ কেজি সার ব্যবহার করা যায় ৩০ শতক জমিতে। এ সার তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজনিন আক্তার বলেন, ‘আমরা উপজেলা থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের বিনা মূল্যে কেঁচো সার তৈরির উপকরণ দিয়েছি। উপকারিতা দেখে দিন দিন কৃষকেরা নিজ খরচেই এই সার তৈরি করছেন।’