তারাগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্বামী আবদুল্লাহ। তিনি আদালতে ১৪৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে গতকাল রোববার তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে গত শুক্রবার সকালে সালমা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তাঁর স্বামী আবদুল্লাহকে আটক করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সালমার একটি পোষা গরু পাইকারের কাছে বিক্রি করে দেন আবদুল্লাহ। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঘটনার জেরে আবদুল্লাহ রাতে ছুরি দিয়ে সালমাকে হত্যা করেন। এরপর সন্তানদের ডেকে জানান, ডাকাত তাঁদের মায়ের গলা কেটে পালিয়েছে।
ওসি ফারুক আহম্মদ বলেন, ‘প্রথমে পুলিশ এবং পরে ১৪৪ ধারায় আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আসামি নিজেই জানিয়েছেন, তিনি সালমার একটি পোষা গরু ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এ নিয়ে সালমার সঙ্গে দ্বন্দ্ব লাগে। সালমা রাতে গরু বিক্রির কারণ ও বিক্রির টাকা চাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে সালমাকে জবাই করেন।’