হোম > ছাপা সংস্করণ

সভাপতি-সম্পাদকের বিরোধ এবার প্রকাশ্যে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের গোপন বিরোধ বেশ আগে থেকেই। এবার সেই বিরোধ সামনে এসেছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ইউনিটের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছেন বলে দাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের।

বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কেন্দ্রীয় হোক কিংবা যেকোনো দলীয় কর্মসূচিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না। সভাপতি আতিকুর রহমান অনীক তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আলাদা কর্মসূচি পালন করেন। আবার সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জও আলাদা কর্মসূচি পালন করে থাকেন তাঁর অনুসারী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে। এবার একে অপরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা শহরে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করেছেন।

জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীদের দেওয়া তথ্যমতে, ২২ অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনীক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ শাখা, ইসলামিয়া কলেজ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পৌর শাখা ও সদর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনীক।

কিন্তু পরদিন ২৩ অক্টোবর ওই ৫ ইউনিটসহ আরও নতুন একটি দৌলতপুর কলেজ ইউনিট কমিটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ।

এ নিয়ে রাতেই আতিকুর রহমান অনীক-সমর্থিতরা শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। পরক্ষণে শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ সমর্থকেরা আতিকুর রহমান অনীককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ নিয়ে শহরব্যাপী উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

কমিটি ঘোষণা নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনীক বলেন, ‘২২ অক্টোবর দলীয় প্যাডে হাতে লেখা যে পাঁচ ইউনিটের কমিটি প্রকাশ করা হয়, সেটা সঠিক। তাতে আমার ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর রয়েছে।’

আতিকুর রহমান অনীক আরও বলেন, ‘পরদিন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আমার যে স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে, তা আমার নয়। পরদিন ঘোষণা করা শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের কমিটি অবৈধ।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, প্রথমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাঁচটি ইউনিটের যে কমিটি ঘোষণা করেন তার বৈধতা নেই।

কারণ, ছাত্রলীগের যে প্যাডে কমিটি প্রকাশিত হয় তা হাতে লেখা। মূলত স্বাক্ষর জাল করে সভাপতিই ভুয়া কমিটি ঘোষণা করেছেন। ২৩ অক্টোবর দলীয় প্যাডে যে ছয় ইউনিটের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা সঠিক।’

২৩ অক্টোবর জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক রক্তিম ঘোষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২২ অক্টোবর যে পাঁচটি কমিটি ঘোষণা করা হয় তা সঠিক এবং বৈধ। পক্ষান্তরে ২৩ অক্টোবর কোনো কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী বলেন, ছাত্রলীগের এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। যা হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ