হোম > ছাপা সংস্করণ

সমস্যাটা নিয়ে চিন্তিত নন ডমিঙ্গো

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যে ম্যাচটা সহজে জেতার কথা ছিল, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় সেটাই কঠিন করে জিতেছে বাংলাদেশ। ১২৮ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ের পর ৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ ছিল এই মিডল অর্ডার। তবে এটা নিয়ে ভাবছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। শিষ্যদের কাঁধে আস্থার হাত রাখছেন বাংলাদেশ কোচ। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘সাকিব-মুশফিক-রিয়াদের মতো আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। মিডল অর্ডারে আফিফের মতো ডায়নামিক একজন খেলোয়াড় থাকাও দারুণ ব্যাপার। এই মুহূর্তে মিডল অর্ডার নিয়ে আমার চিন্তা নেই। (২০২৩) বিশ্বকাপে সমস্যায় পড়ার চেয়ে এখন পড়াই ভালো।’

মিডল অর্ডারে সবচেয়ে বেশি চিন্তার জায়গা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে। অনেক দিন হলো নিজের সেরা ছন্দে নেই তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে ৩৫ বলে ১৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে উইকেটে তাঁকে একেবারেই স্বচ্ছন্দে থাকতে দেখা যায়নি। শট খেলার চেষ্টাই তিনি করেননি। বরং উইকেটে টিকে থাকায় প্রাধান্য দিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত এই কৌশল কাজে আসেনি। তাঁর আউটের পর আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

গতকাল অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আলাদা কাজ করেছেন ডমিঙ্গো। অনুশীলন নিয়ে বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘ইনটেনসিটি নিয়ে কাজ করছিলাম। প্রথম ম্যাচে সে রান না করে টিকে থাকার চেষ্টা করছিল। সে কারণেই লেগ স্টাম্প হাফ ভলি মারতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরে। যদি রান করার চেষ্টা করত, তাহলে সে ওই বলটা থেকে দুই কিংবা চার নিতে পারত। আজ (কাল) সেটা নিয়েই কাজ করছিলাম।’

২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ৩১ ম্যাচ মাহমুদউল্লাহর রান ৮০৬ রান, গড় ৪০.৩০। স্ট্রাইকরেট ৭৪.০৮। স্ট্রাইকরেট খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও কোচ তাঁর অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ওপর আস্থা রাখছেন, ‘আমি এখনো বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে মাহমুদউল্লাহর সামর্থ্যে আস্থা রাখছি।’ মাহমুদউল্লাহর ফর্ম নিয়ে আলোচনায় নিয়েও চিন্তিত নন ডমিঙ্গো, ‘(গত জুলাইয়ে) জিম্বাবুয়েতে ৮০ রানের ইনিংস ছিল। তার ব্যাটিং-সামর্থ্যে আমার আস্থা আছে।’

কোচের ভরসার হাত থাকছে আলোচনায় থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধেও। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তামিম ইকবাল চোটে না পড়লে অবশ্য একাদশে সুযোগ পাওয়া কঠিন হতো তাঁর। তবে প্রথম সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। দীপক চাহারের প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। যদিও তিন সংস্করণেই শান্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার কতটা করতে পেরেছেন, সেই প্রশ্ন নিয়মিতই উঠছে। শান্তকে একাদশে রাখা নিয়ে বাংলাদেশ কোচের ব্যাখ্যাটা এ রকম, ‘ওপেনিংয়ে আমি ডানহাতি-বাঁহাতি খেলাতে পছন্দ করি। সে (শান্ত) সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো করার উপায় খুঁজছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার দুটো ফিফটি আছে।’

এখনো পর্যন্ত ১৪ ওয়ানডে খেলেছেন শান্ত। তাঁর ব্যাটিং গড় মাত্র ১৩.৫০। স্ট্রাইক রেট ৬০.৯৬। শান্ত প্রসঙ্গে স্বদেশি কিংবদন্তি অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের উদাহরণ টেনে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘প্রথম ১২ টেস্টে জ্যাক ক্যালিসের গড় মাত্র ১২। সে নিজেকে সেরাদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শান্তর আরও ধারাবাহিক ভালো করা উচিত।’

শান্ত নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত হবেন কোচের এই মন্তব্যে। এখন বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটারকে দিতে হবে আস্থার প্রতিদান। একই সঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে বাকিদেরও। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ