নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গার্মেন্টসকর্মী আমান আলী হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা সবাই আমানের বন্ধু ও সহকর্মী। গ্রেপ্তারের পরপরই অভিযুক্তদের ডন হওয়ার পরিকল্পনার কথা উঠে আসায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
গত বুধবার রাতে নিহত আমান আলীর মা জেবুন নাহার বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই সব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ও র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান।
মামলার আসামিরা হলেন আশরাফুল (১৯), জীবন (১৮), রাসেল (১৯), আব্দুল হাকিম (১৯), আনিস (১৮), সৌরভ ওরফে হৃদয় (১৮), আব্দুল ছালাম ওরফে স্বাধীন (১৯), আশিক (১৮)। এদের মধ্যে জীবন ও আশরাফুল ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। বাকি ৬ আসামিকে মামলার আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী ও আমান আলী ফতুল্লার মাসদাইরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘটনার দিন গার্মেন্টস বন্ধ থাকায় আমান তাঁর বন্ধু আশরাফুল ও জীবনের সঙ্গে বিকেল চারটার দিকে নিজ বাসা থেকে বের হন। পরে তাঁরা মাসদাইর পুলিশ লাইন সংলগ্ন কেতাবনগর এলাকায় গিয়ে বাকি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে আমান বাসায় ফেরার সময় আশরাফুল ও জীবনের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডতার সৃষ্টি হয়। এ সময় আশরাফুল ও জীবনসহ অপর আসামিরা আমানকে ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় বাসায় গিয়ে আমান তাঁর মাকে বিস্তারিত জানান। তাঁর মা দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যান। সেখানেই মারা যায় আমান।