নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের একটি কলেজের গভর্নিং বডি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার হাজারীহাট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ চৌধুরী বাবুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ, মোহাম্মদ আলী ও রহমত উল্লাহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগামী ৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির ভোট হওয়ার কথা।
মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক অভিভাবক ও দাতা সদস্যরা অভিযোগ করেন, ১৫ মার্চের কলেজে গভর্নিং বডির নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ মো. কামাল পারভেজ স্বাক্ষরিত তফসিল বিবরণী গত ১৫ মার্চ ইস্যু করেন। কিন্তু এই তফসিল বিবরণীর কোনো প্রচার করা হয়নি।
তাঁরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন, ভোটার তালিকা দেয়ালে ঝোলানো আছে, কিন্তু নির্বাচনী তফসিল বিবরণীটি সেখানে নেই। এ বিষয়ে জানতে তাঁরা অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে জানতে পারে ওই দিনই (মঙ্গলবার) মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমার শেষ দিন। এ সময় বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র কিনতে চাইলে ‘মনোনয়নপত্র দেওয়া যাবে না’ অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ জানান।
ভুক্তভোগীরা বলেন, পরে বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ মো. কামাল পারভেজকে জানানো হলে মোবাইল ফোনে অধ্যক্ষকে ফিরে যাওয়া প্রার্থীদের খবর দিয়ে এনে মনোনয়নপত্র দিতে নির্দেশ দেন। এরপরও অধ্যক্ষ ‘নিজ বলয়ের’ লোকদের বাইরে কাউকে মনোনয়নপত্র দেননি। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন।
এদিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে কলেজে গিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সিঁড়িকক্ষের দেয়ালে ভোটার লিস্ট ঝোলানো দেখা যায়। কিন্তু সেখানে নির্বাচনের তফসিল বিবরণী দেওয়া হয়নি।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মিলনায়তনে থাকা শিক্ষকেরা জানান, শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা না করে অধ্যক্ষ নিজ পছন্দের তিনটি পদে তিন শিক্ষককে নিজ হাতে তুলে মনোনয়নপত্র দেন। তারা হলেন জিল্লুর রহমান, মো. মোফাজ্জল হক মাহিন ও জীবন সুলতানা।
জানতে চাইলে অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ চৌধুরী সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দেওয়া নির্দেশের বিষয় অস্বীকার করেন।