হোম > ছাপা সংস্করণ

অবশেষে ভাসল ‘আমানত শাহ’

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি আমানত শাহকে অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ফেরিটি উদ্ধার করে বেসরকারি উদ্ধারকারী সংস্থা জেনুইন এন্টারপ্রাইজ। তবে ফেরিটি এখনো নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আমানত শাহ উদ্ধার অভিযানের প্রধান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক মো. ফজলুর রহমান বলেন, হেলেপড়া ফেরিটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে উদ্ধার সম্পন্ন হয়েছে। এখন ফেরির ভেতরে থাকা ভারী মালামাল ও পলি অপসারণ কাজ চলছে।

ফজলুর রহমান বলেন, ফেরির তলদেশে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের ছিদ্র বন্ধ করা হচ্ছে। এ কাজ শেষ করতে আরও দুদিন সময় লাগবে। এসব কাজ শেষে ফেরিটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে ফেরি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ফেরি আমানত শাহ উদ্ধারের খবর জানে না বলে প্রশ্ন উঠেছে। তারা গত সোমবার রাতে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ফেরি সেক্টর নামক ফেসবুক প্রোফাইলে ফেরি উদ্ধারের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে। সেখানে ক্যাপশনে লেখা অবশেষে উদ্ধার হলো ডুবে যাওয়া আমানত শাহ। শেষে লেখা ছিল তথ্যসূত্র শিবালয় থানা।

এমন স্ট্যাটাসে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। ফেরির মালিক বিআইডব্লিউটিসি অথচ থানা-পুলিশের তথ্য ধার করে তারা পোস্ট দিয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘কত জন তো কত কথাই লিখছেন। আমাদের নিয়ে এরকম কিছু হয়তো হয়েছে। এই আর কি!’

উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউল আলমও বিআইডব্লিউটিসির কোনো সহযোগিতা পাননি বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা টানা নয় দিন চেষ্টা চালিয়ে ফেরিটি উদ্ধার করেছি। তবে ফেরি কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সহায়তা করেনি। এ বিষয়ে তাদের উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে।’

গত ২৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি আমানত শাহ পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে যানবাহন আনলোডের সময় ডুবে যায়। এ সময় ফেরিটিতে ১৪টি ভারী যানবাহন ও চারটি মোটরসাইকেল ছিল। ফেরিটি উদ্ধারে ব্যর্থ হয় বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম।

পরে এ ফেরিটি উদ্ধারে বেসরকারি সংস্থা জেনুইন এন্টারপ্রাইজকে দায়িত্ব দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। টানা ৯ দিনের চেষ্টায় ফেরিটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে ফেরিডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত গঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক গঠিত একাধিক তদন্ত কমিটি পৃথকভাবে তদন্ত করে। এখন পর্যন্ত কোনো কমিটিই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেনি।

তবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত সংসদীয় তদন্ত কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাজাহারুল হক প্রধান জানিয়েছেন, ফেরি উদ্ধার ও চালনায় কারও কোনো ব্যর্থতা এবং গাফিলতি আছে কি না তা উদ্‌ঘাটন করা হবে। কারও কোনো গাফিলতি থাকলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ