ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামে একটি কারখানার নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে শিল্প পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রানার মোটরসের কারখানায়। নিহত মাসুদ নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা গ্রামের মরহুম সাদে আব্বাস মীরের ছেলে।
এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই অভিযান চালিয়ে নলুয়াকুড়ির ভাড়া বাসা থেকে নিরাপত্তাকর্মী শিশির সাংমাকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। তিনি নেত্রকোনার দুর্গাপুরের নয়াপাড়া গ্রামের কায়তু চিচাংয়ের ছেলে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের রানার মোটরসের নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ মিয়া (৩৫) ঘটনার রাতে কারখানার চারদিকে পাহারা দিচ্ছিলেন। এ সময় তার হাতে থাকা টর্চ লাইটের আলো অপর নিরাপত্তাকর্মী শিশির সাংমার চোখে মুখে লাগে। এতে শিশির সাংমা ক্ষিপ্ত হলে মাসুদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও মারধরে গড়ায়।
এ সময় মাসুদ মার খেয়ে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাটি টের পেয়ে কারখানার কর্তৃপক্ষ, নিরাপত্তাকর্মী ও শ্রমিকেরা মাসুদকে উদ্ধার করে মাথায় পানি দেন। পরে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর কারখানার কাঁটাতারের বেড়া টপকিয়ে পালিয়ে যান শিশির সাংমা।
খবর পেয়ে রাতেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁর নির্দেশে শিল্প পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট রাতেই উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের নলুয়াকুড়ি থেকে শিশির সাংমাকে আটক করে। পরে ভালুকা মডেল থানায় লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিশির সাংমাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে ভালুকা থানায় হস্তান্তর করা হয়। কারখানায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।