সিটি লাইফ নাটকের গল্প কী নিয়ে?
মোর্শেদ নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে চলে আসে। কারণ, গ্রামে আধুনিক ও উন্নত জীবনযাপনের সুবিধা পাচ্ছে না তারা। ঢাকায় আসার পর প্রতিদিন তাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। সেই জার্নিই তুলে ধরা হয়েছে এ নাটকে।
আপনি কোন চরিত্রে অভিনয় করছেন?
সেই পরিবারের একমাত্র ছেলে আমি, নাম সোহান। সে ক্রিকেটপাগল, একরোখা। কেউ কিছু বললেই মারামারি শুরু করে। প্রতিদিন তার বিরুদ্ধে বাসায় অভিযোগ আসে।
‘মীরাক্কেল’ দিয়ে আপনার শুরু। এই প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের অনেকে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। তবু আমাদের দেশে স্ট্যান্ডআপ কমেডির জায়গা তৈরি হচ্ছে না কেন?
আসলে এ নিয়ে কারও পরিকল্পনা নেই। স্ট্যান্ডআপ কমেডির যদি রেগুলার শো হতো, তাদের সম্মান করা হতো; তাহলে বিষয়টি অন্য রকম হতে পারত। অন্যান্য দেশে স্ট্যান্ডআপ কমেডি পেশা হিসেবে নিয়েছেন অনেকে। কারণ, সেখানে তাঁরা প্রাপ্য সম্মানীটুকু পাচ্ছেন। আমাদের দেশে সেটা হচ্ছে না বলেই অনেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। নাটক-সিনেমার মতো স্ট্যান্ডআপ কমেডি নিয়ে মার্কেটিং হলে অনেক দূর যেতে পারত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। সত্যি বলতে, স্ট্যান্ডআপ কমেডি পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো পরিবেশ এ দেশে নেই।
যাঁরা স্ট্যান্ডআপ কমেডির সঙ্গে জড়িত, তাঁরা কি সম্মিলিতভাবে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কখনো?
পরিকল্পনা নেওয়া হলেও কোনো কাজ হয় না। একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করলে আমাদের যে বাজেট দেওয়া হয়, সেটা দেখলে আগ্রহটা হারিয়ে যায়। এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে কয়েকবার।
খুব আফসোস হয়। আমাদের সিনেমায় একসময় টেলিসামাদ সাহেব, দিলদার সাহেবদের মতো অভিনেতারা ছিলেন। সব সিনেমায় তাঁদের চরিত্রের গুরুত্ব থাকত। তাঁদের ছাড়া সিনেমা অসম্পূর্ণ মনে হতো। অথচ অনেক বছর ধরে সিনেমা থেকে কমেডিয়ানরা যেন হারিয়ে গেছেন। অথচ অন্য দেশের সিনেমার দিকে তাকালে দেখবেন, কমেডিয়ানরা কত শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করছেন!
এর দায়টা আসলে কার?
এই দায় পরিচালক ও চিত্রনাট্যকারদের নিতে হবে। তাঁরা চাইলে নতুন প্রজন্মের কেউ না কেউ উঠে আসত। তাঁরা মনে হয় এমনটা চাইছেন না। কমেডিয়ানদের ছাড়াই চিন্তা করা হচ্ছে বলে বাংলা সিনেমা থেকে কমেডিয়ানরা হারিয়ে যাচ্ছেন।