ভয়ংকর, ভীতি জাগানিয়া, দোর্দণ্ড—একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এই শব্দগুলোকে প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সে সোনালি সময় পেছনে ফেলে আসা ক্যারিবীয়রা ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলটাই যেমন।
অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টের দলে থাকা তিন পেসারের টেস্ট খেলার সম্মিলিত অভিজ্ঞতা ২৭ টেস্ট। তিনজনের মধ্যে অ্যান্ডারসন ফিলিপের অভিজাত সংস্করণের সঙ্গে এখনো পরিচয়ই হয়নি। সর্বোচ্চ ২০টি টেস্ট খেলেছেন আলজারি জোসেফ। ত্রিনিদাদ থেকে উঠে আসা ২০ বছর বয়সী জেইডেন সিলসের অভিজ্ঞতা বলতে ৭ টেস্ট। ১২ জনের স্কোয়াডে অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন রেমন রেইফার। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি ১ টেস্ট। বাঁহাতি স্পিনার গুড়কেশ মোতি অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন।
অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ যে দুজনের, তাঁরা নেই স্কোয়াডে। চোটে পড়ে নেই কেমার রোচ। সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন জেসন হোল্ডার। গত কয়েক বছরে ক্যারিবীয় বোলিং লাইনআপকে টেনেছেন দুজন। ঘরের মাঠে গত মার্চে ইংল্যান্ডকে হারানো সিরিজে সেরা উইকেটশিকারি ছিলেন রোচ। বাংলাদেশের বিপক্ষেও দুর্দান্ত রেকর্ড এই ফাস্ট বোলারের (৫ টেস্টে ২৯)। ক্যারিবিয়ানদের পেস বোলিং আক্রমণের এই অনভিজ্ঞতায় অবশ্য বাংলাদেশের খুশি হওয়ার কিছু নেই! সদ্য শেষ হওয়া সিরিজেই এক আনকোরা কাসুন রাজিথাই ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন। এমনকি গত বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে তুলনামূলক কম শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাংলাদেশ সিরিজ হেরেছিল ২-০ ব্যবধানে। অনভিজ্ঞ সিলস-ফিলিপদের তাই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো অনভিজ্ঞতা বাংলাদেশ পেস বোলিং আক্রমণেও। ইবাদত হোসেন-খালেদ আহমেদরা প্রথমবার খেলবেন ক্যারিবীয় দ্বীপে। তাঁদের পরীক্ষা দিতে হবে ক্রেগ ব্রাথওয়েট-এনক্রুমা বোনারদের সামনে। বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই উজ্জ্বল উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাথওয়েট, ৪ টেস্টে করেছেন ৫৬৩ রান। আর দেশের মাঠে নিজেদের সাম্প্রতিক রেকর্ডও অনুপ্রাণিত করতে পারে ক্যারিবীয়দের। সর্বশেষ গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ তারা জিতেছে ১-০ ব্যবধানে।