হোম > ছাপা সংস্করণ

‘ওরা ১১ জন’-এর ১০ জনই আসল মুক্তিযোদ্ধা

মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এখন অনেক কাজ হচ্ছে। তবে, বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে আমি গর্ব করতে পারি। বলা যেতে পারে, যত দিন বাংলা চলচ্চিত্র বেঁচে থাকবে, ‘ওরা ১১ জন’ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এই ছবিকে আমি ডকুমেন্টারি ফিল্ম বলি। ফিচার ফিল্ম হিসেবে এটাকে ভালো মানের ছবি বলা যায় না। কারণ, তখন আমরা প্রায় সবাই নতুন ছিলাম। আমাদের চিন্তাচেতনায় যেমনটা এসেছে, সেভাবেই আমরা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। এখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বক্তব্য দিয়েছেন। এখানে যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ছবির ‘ওরা ১১ জন’ যাদের নিয়ে নামকরণ করা হয়েছে, তাঁদের ১০ জনই আসল মুক্তিযোদ্ধা। পৃথিবীর আর কোথাও এমন হয়েছে বলে জানা নেই। সবই হয়েছে অ্যারেঞ্জড ফিল্ম। মুক্তিযুদ্ধের ছায়া অবলম্বনে অনেক ছবি হতে পারে। কিন্তু পুরো মুক্তিযুদ্ধটা একটা ছবিতে তুলে ধরা সম্ভব নয় বলে আমার ধারণা।

মুক্তিযুদ্ধের পর আমি ঢাকায় ফেরার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে যাই। তখন হলের একজন আমাকে বললেন, ‘আপনারা যুদ্ধ করে ফিরে এলেন কিন্তু অনেকেই তো ফিরতে পারেননি!’ কথাটা আমার মনে খুব দাগ কাটে। আসলেই তো, আমরা অনেক আপনজন হারিয়েছি। এমন কিছু কি করতে পারি না, যেখানে সব ফুল এক করা যাবে? হয়তো খুব ভালো কিছু হবে না। কিন্তু একটি মালা তো হবে। এই ভাবনা থেকে যুদ্ধে অংশ নেওয়া বন্ধুরা মিলে ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণ করি। ছবির অধিকাংশ শিল্পী পারিশ্রমিক নেননি। এমনো দিন ছিল, প্রযোজক হিসেবে আমি তাদের ভাত পর্যন্ত খাওয়াতে পারিনি। এদের মধ্যে আলতাফ ছাড়া আর কারও অভিনয়ের কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না। ১৯৭২ সালের ১৩ আগস্ট মুক্তি পায় ‘ওরা ১১ জন’ ছবিটি।

(অনুলিখন)

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ