কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে হাইলি প্যাথজনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের সংক্রমণে মুরগি মারা যাচ্ছে। পোলট্রি ব্যবসায়ীরা বলছেন এ কারণে পোলট্রি শিল্পে ধস নামছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং পোলট্রি শিল্পকে রক্ষায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করছেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, শীত মৌসুমে অতিথি পাখিরা এ রোগ বহন করে নিয়ে আসে বাংলাদেশে। অতিথি পাখির বিষ্ঠা থেকে এ রোগের সংক্রমণ ঘটছে।
উপজেলার বিভিন্ন খামারে গিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে কুলিয়ারচরে শতাধিক খামারে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণে লক্ষাধিক মুরগি মারা গেছে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় নীরবে মুরগি পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়েছেন খামারিরা। এর ফলে উপজেলায় ২ কোটির বেশি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পোলট্রি মালিকেরা।
উপজেলার ডুমরাকান্দায় দুটি খামারের মধ্যে ‘স্বপ্ন অ্যাগ্রো ফার্মের’ ১১টি এবং কবির হোসেনের ফার্মের ৭টি লেয়ার সেটে ভয়াবহ আকারে হাইলি প্যাথজনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ ঘটেছে। তা ছাড়া বাজরা, তারাকান্দি, আগরপুর, ফরিদপুর, ছয়সূতি, নলবাইদ, দাড়িয়াকান্দি, লালপুর গ্রামে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
স্থানীয় খামারিরা জানান, প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে প্রতিষেধক ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে। তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না। মৃত মুরগির ময়নাতদন্ত করে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিখিল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, শীত মৌসুমে অতিথি পাখিরা এ রোগ বহন করে নিয়ে আসে বাংলাদেশে। এরা পোলট্রি ফার্মের আশপাশের ঝোপঝাড় ও গাছপালায় আশ্রয় নেয়। পাখির বিষ্ঠা থেকে এ রোগের সংক্রমণ ঘটছে।