নান্দাইলের খারুয়া ইউনিয়নের নাগপুর গ্রামের বাসিন্দা শারীরিকভাবে পঙ্গু কামাল উদ্দিন (৩০)। মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার। ২০০১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়ির চাপায় একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন থেকেই ক্রাচে ভর করে চলাফেরা করেন। অসহায় কামাল উদ্দিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন কয়েজন। তাঁরা কৃত্রিম পা ও নগদ অর্থ দিয়েছেন তাঁকে।
কামাল উদ্দিনকে নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি ‘এক পায়ে জীবনযুদ্ধ কামাল উদ্দিনের’ শিরোনামে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি এ কে এম সাইদুল করিমের নজরে আসে। পরে তিনি ও তাঁর ৫ বন্ধু মো. তারেক আলম, এম এস রহমান ফটিক, এম শফিকুর রহমান, এম আর চৌধুরী, শামুজ্জামান মিলে কামালের জন্য কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করেন। এক লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে তাঁর কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়।
এ ছাড়া গত ২১ ফেব্রুয়ারি এ কে এম সাইদুল করিম খারুয়ার নাগপুর গ্রামে গিয়ে কামাল উদ্দিনকে নগদ ৫১ হাজার টাকার চেক দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউপির চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত ভূঁইয়া মিন্টু, সাংবাদিক আমিনুল হক বুলবুল প্রমুখ।
কামালের স্ত্রী শিখা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীর একটা পাও আছিননা। আমনেরা লাগাইয়া দিছুইন। অহন ৫১ হাজার টেহা দিছুইন। আমনেরার লাইগ্যা দোয়া করি। আমনেরা খুব ভালা থাহেন।’
কামাল উদ্দিন বলেন, ‘২০ বছর আগে পা হারিয়ে ছিলাম। এক পায়ে দীর্ঘদিন হেঁটে দিন পার করেছি। এখন দু পায়ে হাঁটতে পেরে আমি আনন্দিত। যাঁরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’