ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ভূবনকুড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে বন্যহাতি। এদের তাণ্ডবে ৩২ জন কৃষকের প্রায় ৪০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে হাতি মানুষের যুদ্ধ দীর্ঘদিনের। তবে সীমান্তবর্তী ভূবনকুড়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে কয়েক বছর হাতির আক্রমণ খুবই কম ছিল। কিন্তু এ বছরের বোরো আবাদ এবং কাঁঠাল পাকার মৌসুম থেকে হাতির দলের লোকালয়ে চলে আসা নিয়মে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই দল বেঁধে অন্তত ৫০ থেকে ৭০টি বন্যহাতির খাবারের সন্ধানে চলে আসে লোকালয়ে। তাণ্ডব চালায় ফসলের জমি ও ঘরবাড়িতে।
গত কয়েকে দিনে বানাইচিরিংগিপাড়া, মহিষলেটি, জামগড়া, ধোপাঝুড়ি, কোচপাড়া, রঙ্গমপাড়া এবং কড়ইতলী এলাকায় বন্যহাতি অন্তত ৩২ জন কৃষকের প্রায় ৪০ একর জমিতে রোপণ করা আমন ধান খেয়ে এবং পা দিয়ে পিষ্ট করে নষ্ট করে ফেলেছে।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তের অন্তত তিন কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় বন্যহাতির দল অবাধে লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে ওই সব এলাকার মানুষের সব সময় আতঙ্কে দিন কাটে। বোরো এবং আমন মৌসুমে ফসল রক্ষায় পাহাড়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় তাঁদের। হাতি থেকে ফসল রক্ষায় স্থানীয়ভাবে টর্চলাইট, মশাল, পটকা ও বাঁশি বাজিয়ে রাত জেগে পাহারা দিতে হয়।
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সুরুজ মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে পরিষদের তহবিল থেকে কেরোসিন, টর্চলাইট ও পটকা সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয়দের নিয়ে হাতি তাড়াতে গ্রামে টিম করে দেওয়া হয়েছে। তবে একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। অন্তত ৪০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।’