হোম > ছাপা সংস্করণ

ফেসবুক আসক্তি নিদ্রা ও দৃষ্টিহীনতার কারণ

জীবনধারা ডেস্ক

মানসিক স্বাস্থ্য
আমার বয়স ৩০। এখনো বিয়ে করিনি। ইদানীং আমার খুব একা লাগে। কোনো কিছু ভালো লাগে না। কাজে উদ্যম পাই না। বই পড়তে, মুভি দেখতেও ইচ্ছে করে না। অধিকাংশ সময় ফেসবুকে থাকা হয়। এমনিতেই স্ক্রল করা হয় বেশি। ভীষণ ক্লান্ত লাগে। কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারি না। এ ক্ষেত্রে কী করণীয়?

হৃদিতা, ঢাকা

আমি একটু মাঝখান থেকে শুরু করি। ফেসবুক স্ক্রল করা। ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করাকে বিহেভিয়ারাল ডিসঅর্ডার বা আচরণগত অসংগতির মধ্যে ফেলা হচ্ছে।

ডুম স্ক্রলিং নামে একটা শব্দ এখন ব্যবহার করা হয়; অর্থাৎ আপনি যদি একনাগাড়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েব সার্ফিং করেন; প্রচুর নেতিবাচক খবর দেখতে থাকেন, এর মানে কিন্তু কী ঘটছে, সেটা অবগতি নয়। এর মনোদৈহিক প্রভাব আছে। গবেষণা বলছে, এই সব আচরণ বিষণ্নতা বাড়ায় এবং এটা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। বারবার এই আচরণ অভ্যস্ততায় পরিণত হয়। যেটা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তেই থাকে অবচেতনভাবে। তখন কোনো কিছু না ভেবেই আমরা চট করে মোবাইলটা হাতে তুলে দেখতে থাকি। ফোনের জগতের অভিজাত আইফোনের উদ্যোক্তা স্বয়ং আপেলের সিইও টিম কুক সিএনবিসিকে বলেছেন, উদ্দেশ্যবিহীনভাবে এলোমেলো মোবাইল ফোনে স্ক্রল করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর থেকে পাওয়া নেতিবাচক তথ্যও নিজের এবং আশপাশের মানুষের জন্য খারাপ।

তাহলে প্রতিদিন কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা যাবে? উত্তর, আধা ঘণ্টার কম। সার্ভেতে দেখা গেছে, যাঁরা বিভিন্ন লিংকে এর ৪ গুণ বেশি সময় থেকে বেশি ক্লিক করেন, তাঁদের বিষণ্নতা বা যাঁরা এর থেকে দ্বিগুণ সময় ধরে লাইক দেন ফেসবুকে, তাঁদের নিঃসঙ্গতা ও বিষণ্নতার প্রকোপ অনেক বেশি।

হৃদিতা, বেশি বেশি ফেসবুক ব্যবহার ঘুম কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া দৃষ্টিশক্তি হ্রাসসহ আরও অনেক ক্ষতি করে। একটু একটু করে যদি লাইফস্টাইল মডিফিকেশন শুরু করেন কেমন হয়? প্রথম ৭ দিন দৈনিক ৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি দিয়ে কি শুরু করা যায়? আর রাতে শোয়ার সময় মোবাইলটা অন্যখানে রেখে একটা বই নিয়ে শুয়ে পড়া শুরু করুন। ঘুম আসতে দেরি হলে ক্ষতি কী? অনলাইনে এখন খুব সহজেই বই কেনা যায়। সেখান থেকেই নাহয় একটা কিনে নিন।

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র‍্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, ঢাকা

স্বাস্থ্য
আমার বয়স ১৭ বছর। আমার বয়সের তুলনায় শারীরিক গড়ন যথেষ্ট নয় এবং ওজন অনেক কম। আমার বিএমআই মান ১৬.৯৫৫। সম্প্রতি দেহ গঠনের জন্য বাসায় হালকা ব্যায়াম করছি। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় বাবার আয় অনেক কম, সে হিসেবে আমিষের চাহিদা মেটানো খুব কষ্টের। আমিষের চাহিদা মেটাতে সহজ কোনো পন্থা আছে কি?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রামু, কক্সবাজার

আমিষের চাহিদা মেটানোর সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ডালজাতীয় খাবার। ডালে প্রচুর পরিমাণ আমিষ থাকে। পাশাপাশি শিমের বীজ, বরবটি, মটরশুঁটি ইত্যাদিতে আমিষ থাকে। এই উদ্ভিজ্জ আমিষ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া বিভিন্ন ডালের বড়ি, সয়া বড়ি ইত্যাদির মাধ্যমে আমিষের ঘাটতি পূরণ করা যাবে।

ইতি খন্দকার, পুষ্টিবিদ, লেজার ট্রিট

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ