হোম > ছাপা সংস্করণ

দুঃখ যখন খরস্রোতা ধলাই

আবিদুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খরস্রোতা নদী ধলাই। নদীতে সেতু না থাকায় পূর্ব ও উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নৌকায় পারাপার হতে হয়। নদীমাতৃক বাংলাদেশে ধলাই নদী যেন এই দুই ইউনিয়নের মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বর্ষা মৌসুমে নৌকায় পারাপার হওয়া গেলেও বাকি সময়ে বাঁশের সাঁকোই ভরসা। সেতুর অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৩০ গ্রামের মানুষ।

তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ধলাই নদীতে সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডির) ইতিমধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

খরস্রোতা ধলাই নদীর এক পাশে উপজেলা সদর, অন্য পাশে চাঁনপুর গ্রাম। উপজেলা সদরের লাগোয়া হলেও পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শুধু একটি সেতুর অভাবে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা।

কেবল চাঁনপুর নয়, ওই ইউনিয়নের খায়েরগাঁও, রাজনগর, মোস্তফানগর, ঢালারপাড়, রংপুর, ইমানীকান্দি, শওকতনগর, শিমুলতলা নোয়াগাঁও ও উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের ফেদারগাঁও, লামাডিস্কিবাড়ী, উপর ডিস্কিবাড়ী, হুরারপাড়, লাকী, কাকুরাইল, ফাড়ারখেও, দীঘলবাকেরপাড়, বেতমুড়া গ্রামসহ অন্তত ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বর্ষা মৌসুমে উপজেলা শহরে যাওয়ার জন্য একমাত্র ভরসা নৌকা। নৌকায় প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে পৌঁছাতে হয় উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন প্রসূতি নারীরা। সেতুর অভাবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরাও কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিতে ভোগান্তিতে পড়েন।

উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, তাঁদের দুঃখ ধলাই নদীর ওপর সেতু না থাকা। সেতুর অভাবে উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গড়ে না ওঠায় গ্রামগুলোতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন। জনপ্রতিনিধিরাও এলাকাবাসীর ভোগান্তি কমাতে এবং গ্রামগুলোতে সরকারের চলমান উন্নয়নের চিহ্ন রাখতে দ্রুতই সেতু নির্মাণের দাবি করেছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামীম আহমদ বলেন, উপজেলা ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা পরিষদ, কোম্পানীগঞ্জ থানা ও কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা নিতে প্রতিদিন পূর্ব পাড়ের হাজারো মানুষকে নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়। উপজেলা সদরের সঙ্গে পূর্ব পাড়ের গ্রামবাসীর সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ধলাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।

পশ্চিম ইসলামপুর ইউপির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, উপজেলা সদরের সঙ্গে পূর্ব পারের গ্রামবাসীর যোগাযোগ সহজ করতে সেতু খুবই দরকার। ধলাই নদীতে সেতু নির্মাণে সাংসদ ইমরান আহমেদ চেষ্টা করছেন। এখানে সেতু নির্মাণ করা গেলে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে।

চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন, শামসুল আলম, রাজুসহ কয়েকজন জানান, নদী পার হলেই উপজেলা সদর। অথচ একটি সেতুর অভাবে তাঁরা যুগের পর যুগ নৌকায় পার হচ্ছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগের জন্য ধলাই নদীর চাঁনপুর-শিলেরভাঙ্গা অংশে সেতু হবে। ইতিমধ্যে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ