হোম > ছাপা সংস্করণ

মৃত ব্যক্তির নামে মামলা

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে ৮ বছর আগে মারা যাওয়া রবিউল আউয়াল ওরফে রুবেলের (৩৫) নামে মামলা হওয়ায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

গত ৪ নভেম্বর ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হারুন অর রশিদ লিটন বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ৫১ জনকে আসামি করে ওই মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে মৃত রুবেলকে ১৮ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। লিটনের নির্বাচনী পথসভায় হামলা ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মৃত ব্যক্তিকে মামলার আসামি করা হয়।

জানা গেছে, মৃত রুবেল তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের কুড়ানুগছ এলাকার রফিকুল ইসলামের বড় ছেলে। ২০১২ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। যুবক বয়সে বড় ছেলেকে হারিয়ে এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি বাবা রফিকুল। এর মধ্যে ৮ বছর পর মৃত ছেলের নামে মামলা হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন বাবা রফিকুল ও মা রাজিয়া খাতুনসহ পরিবার।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী লিটন গত ৩১ অক্টোবর রাতে ভজনপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁর নৌকা মার্কার পথসভায় হঠাৎ হামলা ও তাঁর এক কর্মীর মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ নভেম্বর ৫১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই মামলায় ১৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে মৃত রুবেলকে।

এদিকে মৃত রুবেলের বাড়িতে তাঁর নামে মিথ্যা মামলা হওয়ায় তাঁর মা-বাবার চোখে-মুখে হতাশা আর শোকের ছাপ। অন্যদিকে মৃত ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে রুবেলের ছোট ভাই রাকিব এবং দুই বোন নার্গিস বেগম ও রুনি আক্তারের।

এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘একজন মানুষ ৮ বছর আগে মারা গেছে, তাঁর নামে মামলা হয়েছে বিষয়টি আমাদের কাছে খারাপ লেগেছে। মৃত মানুষের নামে যদি এমন মিথ্যা মামলা দায়ের হয়, তাহলে আমরা যারা জীবিত আছি আমাদের নামে যে মামলা হবে না এটা নিয়েও আমরা শঙ্কিত।’

মৃত রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে ৮ বছর আগে ক্যানসারে মারা যায়। ছেলে মারা যাওয়ার কষ্ট ও শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমিসহ আমার পরিবার। এদিকে কয়েক দিন আগে ভজনপুর বাজারে নির্বাচনকে ঘিরে হামলা ও মোটরসাইকেলে আগুন লাগানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে, সেই মামলায় মৃত ছেলেকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি অনেক কষ্টদায়ক। আমার মৃত ছেলের নামে যাঁরা মিথ্যা মামলা দিয়েছে তাঁদের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে মামলার বাদী হারুন অর রশিদ লিটন বলেন, ‘মৃত মানুষের নামে আমি মামলা করিনি। এজাহার টাইপিং করার সময় ভুল হয়েছে। রুবেলের জায়গায় তাঁর ছোট ভাই রাকিবের নাম হবে।’

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া বলেন, ‘এখনো কেউ মৃত্যুর সনদ দাখিল করেনি, দাখিল করলে নাম বাদ পড়বে।’ কেন মৃত ব্যক্তির নামে মামলা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরের ওসি বলেন, ‘এর জন্য দায়ী মামলার বাদী।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ