চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্ত করাসহ তিন দফা দাবিতে ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ১৯ ঘণ্টার মাথায় স্থগিত করেছে ক্ষুব্ধ ছয়টি উপ–দল।
গত সোমবার রাত ১২টার দিকে তাঁরা অবরোধ স্থগিত করেন। ফলে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
গতকাল দুপুরে অবরোধ স্থগিতের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলার মুখ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু বকর তোহা।
আবু বকর তোহা বলেন, ‘আমাদের নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে শিগগিরই বসবেন। তখন আমাদের দাবি–দাওয়া শুনবেন বলে জানিয়েছেন। তাই নেতার নির্দেশনা মেনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা অবরোধ সাময়িক স্থগিত করেছি।’
এর আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্ত করা, কমিটি থেকে বিতর্কিত, বিবাহিত, নিষ্ক্রিয় ও অছাত্রদের বাদ দেওয়া এবং কমিটিতে সিনিয়র-জুনিয়র ক্রম ঠিক করার দাবিতে সোমবার ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছয়টি উপ–দল। এগুলো হলো ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা। এ সময় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ ও ২ নম্বর ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। আটকে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও শিক্ষকদের বাস। এতে করে অচল হয়ে পড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।
অবরোধ স্থগিত করার পর স্বাভাবিক হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়সূচিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন এবং শিক্ষক বাসও চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’